ঠাকুরগাঁও শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তিন দিন ধরে নিখোঁজ সৈয়দপুরের যুবক
https://www.obolokon24.com/2017/05/thakurgaon_91.html
তোফাজ্জল হোসেন লুত,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরের নববিবাহিত এক যুবক ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে গত তিন দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছেন। সৈয়দপুর ও ঠাকুরগাঁও শহরের সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ-খবর করেও তাঁর কোন হদিস মিলেনি। এ অবস্থায় তাকে গত তিন দিন ধরে খুঁজে না পেয়ে তাঁর বাবা-মাসহ অন্যান্যস্বজনরা এবং ওই যুবকের নববধূ ও শ্বশুর পরিবারের সদস্যদের চোখের ঘুম নেই। বর্তমানে উভয় পরিবারের লোকজন চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এ ঘটনায় ওই যুবকের শ্বশুর নিজে বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত ডায়েরীর বর্ণনা মতে, সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার ১ নম্বর বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের মো. আজিজার রহমানের ছেলে মো. মেহেদী হাসান মুন্না (২৬)। পেশায় সে একজন ব্যবসায়ী। সোনাপুকুর রাবেয়া মিলস্ সংলগ্ন এলাকায় তাঁর একটি ভ্যারাইটিজ ষ্টোর রয়েছে। গত প্রায় ৬ মাস আগে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ধুলঝাড়ী গ্রামের মো. সামসুল হকের মেয়ে মোছা. সাবিনা খাতুনে সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মুন্নার। নব জামাতা মেহেদী হাসান মুন্না তাঁর নিজ বাড়ি দিনাজপুরের পাবর্তীপুরের সোনাপুকুর থেকে গত ৩ মে সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে অবস্থান কালে তাঁর শ্বশুর পরিবার নতুন জামাতাকে উপহার হিসেবে নব্বই হাজার টাকা প্রদান করেন। মূলতঃ জামাতা মুন্নাকে ব্যবসার কাজে লাগানোর জন্য ওই টাকা দেয় শ্বশুর সামসুল। এরপর গত ৬ মে দুপুরে নতুন জামাতা মুন্না শ্বশুর বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ধুলবাড়ী থেকে বের নিজ বাড়ি আসার উদ্দেশ্যেরওয়ানা দেয়। পরে বেলা আনুমানিক ১টা দিকে মুন্না নিজ মুঠোফোন (০১৭০১-৯৭৫৩৯৯) থেকে তাঁর ঠাকুরগাঁও পৌঁছানোর বিষয়টি অবগত করেন। এরপর বিকেল তিনটায় জামাতা বাড়িতে পৌঁচ্ছেছে কিনা তা জানার জন্য শ্বশুর সামসুল হক তাঁর মুঠোফোনে কল করেন। এ সময় তাঁর মুঠোফোনট বন্ধ পান তিনি (শ্বশুর)। পরবর্তীতে মুন্নার বাড়ি পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও শ্বশুর সামসুল হক তাদের বাড়িতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। এ সময় মুন্না পরিবারের সদস্যরা জানান সে বাড়িতে আসেননি। এ অবস্থায় নতুন জামাতার খোঁজে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের সম্ভাব্য সকল জায়গায় হণ্যে হয়ে খোঁজ খবর করেও তাঁর কোন সন্ধান পাননি। এদিকে মুন্নার পরিবারের সদস্যরা তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ছুঁটে যান এবং সেখানে অনেক জায়গায় মুন্নার খোঁজখবর করেন। গত দুই দিন ধরে উভয় পরিবারের লোকজন তাঁর খোঁজখবর করছেন। কিন্তু অদ্যাবধি তাঁর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এ দিকে জামাতা মুন্না শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে ঠাকুগাঁওয়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নববধূ ও শ্বশুর বাড়ি লোকজনও হতবাক বনে গেছেন। তারা মারাত্মক চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন । তারা অনুমান করতে পারছেন না যে টাকা পয়সা নিয়ে সে কোথায় থাকতে পারেন ?
এ ঘটনায় নিখোঁজ মেহেদী হাসান মুন্নার শ্বশুর সামসুল হক (৫০) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় গত ৭ মে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। জিডি নম্বর ৩৭০,তারিখ: ৭/৫/২০১৭ইং।