২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রেখে ‘রাতে মানবসেবা’
https://www.obolokon24.com/2017/05/thakurgaon_70.html
আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও শহরে রাত ১২টায় পর প্রায় সকল ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে
যায়। সাধারণ কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপাকে পড়েন। রবিবার রাত আড়াইটার
দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দ্রুত একটি অটো রিক্সা প্রবেশ করে
জরুরি বিভাগে গেল। অটো রিক্সার মধ্যে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে এই
প্রতিবেদক হাসপাতালে প্রবেশ করলেন।
রোগীর স্বজন কাদের জানালেন, আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা লাহিড়ী পিয়াজুপাড়া গ্রামে রাতে হঠাৎ মা বমি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফলে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আছি। কিন্তু সেখানে জরুরি বিভাগে ডাক্তার ও কোন লোককে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটো রিক্সা করেই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন, স্যালাইন ও ঔষু্ধ লিখে দিলেন। হাসপাতালে থেকে স্যালাইন সরবরাহ করলে হলেও ওষুধ ও ইনজেকশন কেনার জন্য কাদের ওষুধের দোকানের দিকে রওনা দিলেন। আমিও (প্রতিবেদক) হাসপাতালে সামনে গিয়ে দেখি সকল ওষুধের দোকান বন্ধ। এতে বিপাকে পড়ে গেলেন কাদের। ওষুধ ও ইনজেকশন পাওয়া না গেলে মাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
কাদেরকে ফোনে বারবার জানানো হচ্ছে ওদিকে রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাড়াতাড়ি ইনজেশন ও ওষুধ না আসলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। হঠাৎ হাসপাতালের সামনের এক গলিতে চোখে পড়লো লুবনা ফার্মেসী নামে একটি ওষু্ধের দোকান। সাইনবোর্ডে লেখা আছে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। লেখাটি ও দোকান খোলা দেখে অনেক শক্তি পেলেন কাদের।
ডাক্তারের দেওয়া মত সকল ওষুধ ও ইনজেকশন পাওয়া গেল দোকানে। ওষুধ কিনে দোকান মালিককে ধন্যবাদ জানিয়েছে চলেন গেলেন কাদের। এই প্রতিবেদকের খুব জানতে ইচ্ছে হলো দোকান মালিক কামরুল হাসানের কাছে হাসপাতালের ও শহরে যখন শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ তখন আপনি লাভের আশায় খোলা রেখেছেন নাকি।
পাল্টা জবারে কামরুল হাসান বলেন, দোকান, ব্যবসা তো মানুষ লোকসানের জন্য করেন না। কিস্তু আমার দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কারণের পেছনে একটা গল্প আছে। সেই গল্প জানতে চাইলো তিনি বলেন, ২০১০ সালের ঘটনা। সকলে মত আমিও রাত ১২টার পরে দোকান বন্ধ করে দেই। হাসপাতলে এক জরুরি রোগী আসলে একটি ইনজেকশন কেনার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। সেই ইনজেকশন তখন আমার দোকানে ছিল না। পাশে এক দোকানে ইনজেকশনটি ছিল। তখন ওই দোকান সবি মাত্র বন্ধ করছিল। ওই রোগীর স্বজনের আকুতি শুনেও দোকান মালিক ইনজেকশনটি দেয়নি। পরে জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখে সময় মত ইনজেকশনটি না পেয়ে রোগীটি মারা যার। খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম রোগীর স্বজনদের সাথে আমিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই। তারপরের দিন থেকেই মনে করলাম " ব্যবসা মানে শুধু টাকা নয় সেবাও' মানুষ তো সমাজে বিভিন্ন মাধ্যমে সেবা করে থাকে। আমি না হয় রাত জেগে অসহায় রোগীদের ওষুধ বিক্রি করে ওকটু হলেও সেবা প্রদান করি। তাই দীর্ঘ ৭ বছর যাবত ২৪ ঘণ্টা ওষুধে দোকান খুলে রেখে অসুস্থ মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছি। কোন দিন রাতে বিক্রি হয়, আবার কখনো সারা রাতেও বিক্রি হয় না।
অনেক অসহায় রোগী হাসপাতালে আসলো রোগীর সুস্থতার কারনে বাকিতেও ওষুধ দেওয়া লাগে। অনেকে পরিশোধ করেন আবার অনেকে সুস্থ হয়ে টাকা না দিয়েই চলে যায় বলে কামরুল অভিযোগ করেন।
রাতের বেলায় ওষুধের দাম বেশি নেয় এমন প্রশ্ন করলে জবারে জানান, রাতের বেলায় যদি ওষুধের দাম যদি বেশি নেওয়া হত। তাহলে তো বেশির ভাগ দোকান লাভের আশায় রাতেই খোলা রাখতো। মানুষ নানা কথা বলতে পারে কিন্তু আমি মানবতার সেবাই দোকান খোলা রাখা চেষ্টা করি। ওষুধের অভাবে কোন রোগী যেন মৃত্যুবরণ না করে সে কারণে। শহরে আরো কয়েকটি ওষুধ দোকান খোলা থাকলে অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ কিনতে পারবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
শকরের হাজীপাড়া থেকে ওষুধ নিতে জীবন হক জানান, শহরে একমাত্র লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা পাওয়া যায়। হঠাৎ বোনের গ্যাসের সমস্যা তাই ওষুধ নিতে এসেছি। আমরা শহরের মানু্ষ কামরুল ভাইয়ের দোকানে মত আরো কয়েকটি দোকান খোলা থাকলে তাহলে জরুরি ভাবে মানুষ ওষুধ পেয়ে রোগ নিরাময় করতে পারবে।
কামরুলের সাথে কথোপকথনের সাথে হাসপাতালে ভর্তি কাদের’র মা ইনজেকশন ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ, তাই ধন্যবাদ দিতে এসে বলেন, ভাই আপনার দোকান খোলা না থাকলে মা’কে নিয়ে অনেক বিপদে পড়তে হত। আল্লাহ আপনার মঙ্গল কামনা করুক বলে চলে জান।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাহ জাহান নেওয়াজ জানান, রাতে বেশির ভাগ শিশু রোগীর ভর্তির সংখ্যায় বেশি হয়। শহরের প্রায় শত ভাগ ওষুধে দোকান বন্ধ থাক রোগীদের স্বজনদের কাছে শুনেছি কামরুলের লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে তারা সেখান থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে থাকেন। ডাক্তারদের মত এটাও একটি মহৎ সেবা বলে মনে করছি।
মিরাজুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, ঢাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে নিজস্ব ফার্মেসি আছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে যদি সেই রকম ব্যবস্থা করে তাহলো রাতের বেলায় রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধের বিষয়টা লাঘব হবে। সেজন্য সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি কামনা করছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেমিষ্ট ও ড্রাগিষ্ট কমিটির সভাপতি আজিজুল হক জানান, সারা ব্যবসা করবার পর রাতে কর্মচারীরা দোকানে থাকতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে অনেকে। কামরুলের লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা অসহায় ও সাধারণ মানুষের সেবা প্রদান করা আসলেই দৃষ্টান্ত। আমরা নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করে আরো কয়েকটি দোকান খোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও পঞ্চগড়, নীলফামীর জেলায় কয়েকটি উপজেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রতিদিন প্রায় দু' থেকে আড়াই রোগী ভর্তি থাকেন। পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও জনবল না থাকেয় চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে রোগীদের। এছাড়া আধুনিক সদর হাসপাতালেরর অসহায় রোগীদের পক্ষে প্রাইভেট ক্লিনিকে সেবা দিতে সামর্থ্য হয়ে উঠেছে না। তাই সংকট নিরসনে সরকারের সাহায্য আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রোগীর স্বজন কাদের জানালেন, আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা লাহিড়ী পিয়াজুপাড়া গ্রামে রাতে হঠাৎ মা বমি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফলে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আছি। কিন্তু সেখানে জরুরি বিভাগে ডাক্তার ও কোন লোককে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অটো রিক্সা করেই ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ইনজেকশন, স্যালাইন ও ঔষু্ধ লিখে দিলেন। হাসপাতালে থেকে স্যালাইন সরবরাহ করলে হলেও ওষুধ ও ইনজেকশন কেনার জন্য কাদের ওষুধের দোকানের দিকে রওনা দিলেন। আমিও (প্রতিবেদক) হাসপাতালে সামনে গিয়ে দেখি সকল ওষুধের দোকান বন্ধ। এতে বিপাকে পড়ে গেলেন কাদের। ওষুধ ও ইনজেকশন পাওয়া না গেলে মাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
কাদেরকে ফোনে বারবার জানানো হচ্ছে ওদিকে রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাড়াতাড়ি ইনজেশন ও ওষুধ না আসলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। হঠাৎ হাসপাতালের সামনের এক গলিতে চোখে পড়লো লুবনা ফার্মেসী নামে একটি ওষু্ধের দোকান। সাইনবোর্ডে লেখা আছে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। লেখাটি ও দোকান খোলা দেখে অনেক শক্তি পেলেন কাদের।
ডাক্তারের দেওয়া মত সকল ওষুধ ও ইনজেকশন পাওয়া গেল দোকানে। ওষুধ কিনে দোকান মালিককে ধন্যবাদ জানিয়েছে চলেন গেলেন কাদের। এই প্রতিবেদকের খুব জানতে ইচ্ছে হলো দোকান মালিক কামরুল হাসানের কাছে হাসপাতালের ও শহরে যখন শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ তখন আপনি লাভের আশায় খোলা রেখেছেন নাকি।
পাল্টা জবারে কামরুল হাসান বলেন, দোকান, ব্যবসা তো মানুষ লোকসানের জন্য করেন না। কিস্তু আমার দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কারণের পেছনে একটা গল্প আছে। সেই গল্প জানতে চাইলো তিনি বলেন, ২০১০ সালের ঘটনা। সকলে মত আমিও রাত ১২টার পরে দোকান বন্ধ করে দেই। হাসপাতলে এক জরুরি রোগী আসলে একটি ইনজেকশন কেনার জন্য হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। সেই ইনজেকশন তখন আমার দোকানে ছিল না। পাশে এক দোকানে ইনজেকশনটি ছিল। তখন ওই দোকান সবি মাত্র বন্ধ করছিল। ওই রোগীর স্বজনের আকুতি শুনেও দোকান মালিক ইনজেকশনটি দেয়নি। পরে জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখে সময় মত ইনজেকশনটি না পেয়ে রোগীটি মারা যার। খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম রোগীর স্বজনদের সাথে আমিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই। তারপরের দিন থেকেই মনে করলাম " ব্যবসা মানে শুধু টাকা নয় সেবাও' মানুষ তো সমাজে বিভিন্ন মাধ্যমে সেবা করে থাকে। আমি না হয় রাত জেগে অসহায় রোগীদের ওষুধ বিক্রি করে ওকটু হলেও সেবা প্রদান করি। তাই দীর্ঘ ৭ বছর যাবত ২৪ ঘণ্টা ওষুধে দোকান খুলে রেখে অসুস্থ মানুষের সেবা করার চেষ্টা করছি। কোন দিন রাতে বিক্রি হয়, আবার কখনো সারা রাতেও বিক্রি হয় না।
অনেক অসহায় রোগী হাসপাতালে আসলো রোগীর সুস্থতার কারনে বাকিতেও ওষুধ দেওয়া লাগে। অনেকে পরিশোধ করেন আবার অনেকে সুস্থ হয়ে টাকা না দিয়েই চলে যায় বলে কামরুল অভিযোগ করেন।
রাতের বেলায় ওষুধের দাম বেশি নেয় এমন প্রশ্ন করলে জবারে জানান, রাতের বেলায় যদি ওষুধের দাম যদি বেশি নেওয়া হত। তাহলে তো বেশির ভাগ দোকান লাভের আশায় রাতেই খোলা রাখতো। মানুষ নানা কথা বলতে পারে কিন্তু আমি মানবতার সেবাই দোকান খোলা রাখা চেষ্টা করি। ওষুধের অভাবে কোন রোগী যেন মৃত্যুবরণ না করে সে কারণে। শহরে আরো কয়েকটি ওষুধ দোকান খোলা থাকলে অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ কিনতে পারবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
শকরের হাজীপাড়া থেকে ওষুধ নিতে জীবন হক জানান, শহরে একমাত্র লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা পাওয়া যায়। হঠাৎ বোনের গ্যাসের সমস্যা তাই ওষুধ নিতে এসেছি। আমরা শহরের মানু্ষ কামরুল ভাইয়ের দোকানে মত আরো কয়েকটি দোকান খোলা থাকলে তাহলে জরুরি ভাবে মানুষ ওষুধ পেয়ে রোগ নিরাময় করতে পারবে।
কামরুলের সাথে কথোপকথনের সাথে হাসপাতালে ভর্তি কাদের’র মা ইনজেকশন ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ, তাই ধন্যবাদ দিতে এসে বলেন, ভাই আপনার দোকান খোলা না থাকলে মা’কে নিয়ে অনেক বিপদে পড়তে হত। আল্লাহ আপনার মঙ্গল কামনা করুক বলে চলে জান।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাহ জাহান নেওয়াজ জানান, রাতে বেশির ভাগ শিশু রোগীর ভর্তির সংখ্যায় বেশি হয়। শহরের প্রায় শত ভাগ ওষুধে দোকান বন্ধ থাক রোগীদের স্বজনদের কাছে শুনেছি কামরুলের লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে তারা সেখান থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে থাকেন। ডাক্তারদের মত এটাও একটি মহৎ সেবা বলে মনে করছি।
মিরাজুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন জানান, ঢাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে নিজস্ব ফার্মেসি আছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে যদি সেই রকম ব্যবস্থা করে তাহলো রাতের বেলায় রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধের বিষয়টা লাঘব হবে। সেজন্য সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি কামনা করছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেমিষ্ট ও ড্রাগিষ্ট কমিটির সভাপতি আজিজুল হক জানান, সারা ব্যবসা করবার পর রাতে কর্মচারীরা দোকানে থাকতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে দোকান বন্ধ করে অনেকে। কামরুলের লুবনা ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টা খোলা অসহায় ও সাধারণ মানুষের সেবা প্রদান করা আসলেই দৃষ্টান্ত। আমরা নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করে আরো কয়েকটি দোকান খোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও পঞ্চগড়, নীলফামীর জেলায় কয়েকটি উপজেলার রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রতিদিন প্রায় দু' থেকে আড়াই রোগী ভর্তি থাকেন। পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও জনবল না থাকেয় চিকিৎসা সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে রোগীদের। এছাড়া আধুনিক সদর হাসপাতালেরর অসহায় রোগীদের পক্ষে প্রাইভেট ক্লিনিকে সেবা দিতে সামর্থ্য হয়ে উঠেছে না। তাই সংকট নিরসনে সরকারের সাহায্য আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।