ঠাকুরগাঁওয়ে নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের ঘটনায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2017/05/thakurgaon_4.html
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এক
নারীকে ‘নগ্ন করে নির্যাতনের’ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রায়হান নেতা ও
ইউপি সদস্য কেদার নাথকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঠাকুরগাঁও শহর থেকেতাদের আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা কেরে ওই নির্যাতিতা নারী । আসামি হলেন
জগন্নাথপুর যুবলীগের সভাপতি রায়হান, ইউপি সদস্য সেদারনাথ,আনিসুর রহমান,
মহিলা সদস্য মালেকা বেগম, যুবলীগ নেতা নুর ইসলাম, আব্দুল্লাহ, আহেন ও ৭/৮
জন অজ্ঞাত।
উল্লেখ্য, স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর ওই নারী বাড়ির সামনে একটি দোকান
করতেন। ব্যবসার খাতিরে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ
চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি যে জমির ওপর বসতভিটা গড়ে
তুলেছেন সেই জমির ওপর চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতা রায়হান ও ইউপি সদস্য
আনিসুরের নজর পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের জন্য নানাভাবে কৌশল করতে
থাকেন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রায়হান । ভিটে মাটি ছেড়ে
দেয়ার জন্য ইতোপূর্বে একাধিকবার হুমকিও দেন যুবলীগ নেতা রায়হান ও তার লোকজন
লোকজন। জমি না দেয়ায় দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। সেই কথায় রাজি না হলে
গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ওই নারীর অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে
এলাকাবাসীর কাছে কিছু সুবিধাভোগী মানুষ নানা কথা ছড়ায়।
গত রোববার রাতে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলালের নির্দেশে
যুবলীগ নেতা রায়হানের কর্মীরা তিন সন্তানের ওই জননীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে বলে বলে ওই
নারী অভিযোগ করেন।
একই সময়ে খোঁচাবাড়ী হাটের ব্যবসায়ী ও গৌরীপুর গ্রামের প্রমথ চন্দ্র রায়কেও
তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করা হয়। যুবলীগ নেতা রায়হান, ইউপি সদস্য আনিসুর
রহমান, কেদারনাথ রায় ও নারী সদস্য মালেকা বেগম এতে নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ
উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও
শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছ