তীব্র তাপদাহ ও লোডসেডিংয়ে বেড়েছে তালপাখার বিক্রি
https://www.obolokon24.com/2017/05/rangpur_90.html
এস.কে.মামুন
প্রায় ১ মাস ধরে ভয়াবহ লোডশেডিং ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুর জেলার মানুষ। এই প্রচন্ড গরমে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচেছ জেলায়, ফলে মানুষের জীবন হয়ে উঠছে নাভিশ্বাস। গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ এখন তালপাতার পাখা কিনতে ব্যস্ত। নগরীর বিভিন্ন ফুটপাতে হাত পাখার দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় পাখা বিক্রির হিরিক। শুধু নগরীতে নয় জেলার ৮ উপজেলার হাটের ফুটপাতে গিয়ে দেখা যায়, তালপাতার পাখার দোকানের পাশে উপচে পড়া ভিড়। ২০ টাকার হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। রংপুর নগরীর কাচারী বাজারের হাত পাখা বিক্রেতা ইমরান মিয়া জানান, তালপাতার পাখার বিক্রি এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভাল। কারণ ঠিকমত বিদ্যুত না থাকার কারণে চার্জার ফ্যানগুলো একেবারে গরমে কাজে আসছে না। তাই মানুষ এই তালপাতার পাখার উপর ঝুকে পড়েছেন। ফুটপাতের আরেক বিক্রেতা রহিম উদ্দিন বলেন, তিনি নিজে তালপাতার পাখা বানিয়ে বিক্রি করেন। বছরে ২/৩ মাস তালপাতার পাখার বেশি চাহিদা থাকে। চৈত্র থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত বিক্রির মৌসুম হলেও চৈত্র ও বৈশাখ মাসই পাখা বিক্রির উপযুক্ত সময়। প্রচন্ড তাপদাহ ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময়টাতে তালাপাতার পাখার প্রয়োজন বেশি হয়ে থাকে। ফলে এ সময় আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য মাসে তালপাতার পাখার তৈরির কাজ ও বিক্রি চললেও শীত এলে বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর তালপাতার পাখা অন্য বছরের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এদিকে হাত পাখার পাইকারী বিক্রেতা আবুল হাসান জানান, হাতপাখা বেশি বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে কম। কারণ প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেশি। পাখা তৈরি করতে রং, সুতা, বাঁশ, কুঞ্চি, তালের পাতার প্রয়োজন হয়। এসবের দাম বাড়ায় হাত পাখা তৈরীতে লাভ কম হচ্ছে। এদিকে হাত পাখা ক্রেতা স্বচাষ এলাকার মুন্সিপাড়ার সেলিম রেজা জানান, তিনি ৪ টি তালের পাখা কিনেছেন। বিদ্যুৎ চলে গেলে সবাই হাত পাখা খোজে তাই বেশি করে কেনা।