রংপুর নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহি মুলাটোল পুকুর রক্ষা কমিটির মতবিনিময়

হাজী মারুফ-

রংপুরের ঐতিহ্যবাহী পুকুরটির আসল নাম কানাইশা পুকুর। নগরীর মুলাটোলে পুকুরটি মালিকানাধীন হলেও দীর্ঘদিন যাবত সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়েরা পূজা বিসর্জন দিয়ে আসছেন। ১৯৫৮ খ্রীঃ বাবুখাঁর বাচ্চা মিয়া সাড়ে ৯০ শতকের এই পুকুরটি ক্রয় করেন। পরে তার দুই সন্তান ডাঃ ও আব্দুর রউফের মালিক হন । 
। সে সময় মুলাটোলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনেরা এই পুকুরে গোসল করা ও কাপড়সহ সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ধোয়ার কাজ সারতেন। কিন্তু বর্তমানে পুকুরটি অযতেœ তার সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবছর শুধু দুর্গাপূজার সময় পুকুরটির পাতা পরিস্কার করে পূজা বিসর্জন দেওয়া হয়। তাই ঐতিহ্যবাহি পুকুরটির সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে এলাকার (২০ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। পুকুরের মালিকসহ এলাকাবাসির সাথে কথা বলে তিনি পুকুরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য একটি ঘাট নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর সেই ঘাট নির্মাণসহ পুকুরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য পুকুরের পরিবেশ রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়।
শুক্রবার মুলাটোল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পুকুরের পরিবেশ রক্ষা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদের ট্রাস্টি ও সভাপতি এ্যাড. রথীস চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা, এ্যাড. আখতারুজ্জামান লিটু, যুবলীগ নেতা লক্ষিন চন্দ্র দাস, রংপুর চেম্বারের পরিচালক পার্থ বোস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি জাবেদ হোসেন জুয়েল, সুব্রত কুমার সরকার, আলতাফ হোসেন, বকুল দেওয়ান, দেবদাস ঘোষ দেবু, স্বপন কুমার ভট্টাচার্জ, মোস্তাফিজুর রহমান বিপু, আশরাফুল হক ডিউক, উৎপল দে বাপ্পি, এ্যাড. প্রশান্ত রায় প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী মুলাটোল পুকুরের পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ও নতুন ঘাট নির্মাণ রাস্তার দুধারে গাছ বসার জন্য পার্ক নিমাণ সহ এলাকাবাসীসহ সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রয়োজন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1323416615394856575

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item