রংপুরে স্কুল ছাত্র প্রান্তদাস নিহত হওয়ায় ভাংচুর ঘটনায় নিরীহ লোকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে- প্রতিবাদ সভা
https://www.obolokon24.com/2017/05/rangpur_40.html
হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর থেকেঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রংপুর সদর উপজেলার ২নং হরিদেবপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র প্রান্তদাস নিহত হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুর ঘটনায় নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার ৬ মে সন্ধ্যায় হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত প্রতিবাদ সভা। হরিদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম, সহ সভাপতি মানিক শেখ, লিয়াকত হোসেন মেম্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ কাজল মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, শমসের আলী, মকবুল হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সুধীবৃন্দ। সভায় বক্তারা অবিলম্বে ভাংচুর ঘটনায় নিরীহ লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। অন্যথায় মামলা নিয়ে হয়রানি করলে কঠোর আন্দোলন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা। জানাগেছে গত ৯ এপ্রিল রবিবার হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র প্রান্ত দাস বাড়ি থেকে স্কুলে আসার পথে স্কুল সংলগ্ন আম বাগান নামক স্থানে বদরগঞ্জ হতে একটি ইট বহনকারী মাহিন্দ্র ট্রাক্টর পাগলাপীর যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে। এতে স্কুল ছাত্র প্রান্ত দাসের মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগে পাকা সড়কে লুটিয়ে পড়ে তার দেহ। মুহুর্তের মধ্যে ছাত্র প্রান্ত দাসের দূর্ঘটনার সংবাদ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় রায় সহ সকল শিক্ষকের মাঝে পৌছিলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি কেহই। স্কুল ছাত্র প্রান্ত দাসের মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হতে থাকলে স্থানীয় জনগন ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা আশঙ্খা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে টানা চারদিন চিকিৎসার পর গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর ২ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত স্কুল ছাত্র প্রান্ত দাসকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। এদিকে দূর্ঘটনার পর ঘাতক মাহেন্দ্র ট্রাক্টরটি পালানোর চেষ্টা কালে বিক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগন চালক সহ গাড়ীটিকে আটক করে চালককে প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে অফিস ঘরে তালা মেরে রেখে দেওয়া হয় এবং ইট সহ গাড়িটিকে ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু ঘটনার দিনে পরক্ষনে প্রধান শিক্ষক মোট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চালককে ছেড়ে দেয়। ফলে এ নিয়ে ঘটনার পরদিন ১০ এপ্রিল সোমবার স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকা বাসীরা প্রধান শিক্ষকের অবসারন দাবী জানিয়ে মানব বন্ধন বিক্ষোভ কর্মসুচি পালনের পর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে স্থানীয় নিরীহ ৪৫/৫০ জন লোকের নামে একটি ভাংচুর মামলা দায়ের করেন।