রংপুরে ইয়াবা মাদক বিরোধী অভিযানে মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরে
https://www.obolokon24.com/2017/05/rangpur_12.html
হাজী মারুফ-
রংপুরে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল সিন্ডিকেটের প্রসার ঘটছে। মাদকের ভয়াবহতার কারণে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচেতনামূলক কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু মুল হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় নগরজুড়ে সমালোচনার ঝঁড় উঠেছে। এজন্য মাদক ব্যবসায়িদের গ্রেফতারসহ অর্থ দ- ও দীর্ঘ মেয়াদি সাজা দেওয়া জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল সিন্ডিকেটের কারণে নগরীর হুনুমানতলা, পর্যটন মোড়, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল, মডার্ণ মোড়, সাতমাথা, স্টেশন বস্তি, লালবাগ বাজার, দর্শনা মোড়, মডাণ, কামাড়পাড়া, দমদমা, শুকুরের হাট, হারাগাছসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষজনদের বসবাস কস্টকর হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কোতয়ালী থানার নিকটবর্তী মহল্লা কামাড়পাড়া, গনেশপুর, গুড়াতিপাড়া ও মুলাটোল এলাকায় বেশ কয়েকজন যুবক পুলিশের ক্ষমতাধর কয়েকজন এস আই’য়ের ‘সোর্স’ হিসেবে পরিচিত হওয়ার সুবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা’ ও ফেন্সিডিল এর ব্যবসা জমজমাট ভাবে করে যাচ্ছে। অনেক সোর্স সু নিদৃষ্ট কোন পেশার সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের ক্ষমতাধর একাধিক এসআই’য়ের সাথে আলাপ চারিতায় মগ্ন হয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসায়ীরা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাদের সাথে পুলিশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অঢেল অর্থের মালিক বনে যাওয়ার সহজ কৌশল স্বরুপ অবৈধ এসব ব্যবসা করে আসছে এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এসব যুবকরা কোন পেশায় সম্পৃক্ত নেই প্রত্যক্ষদর্শীরা অকপটে স্বীকার করেন যারা গভীর রাত পর্যন্ত গনেশপুর মুলাটোল, গুড়াতিপাড়ায় আড্ডা মারে তারা সকলেই এসব এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এখানে বহিরাগত কিছু যুবক কে গভীর রাত পর্যন্ত ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায়। অথচ গোয়েন্দা পুলিশের অনেকেই এসব এলাকায় বসবাস করেন। তথাপি পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এসব তথ্য অগোচরে রাখছেন। কিন্তু কেন ? এতে সরকারের বিরুদ্ধে জঙ্গী তৎপরতা নজর রাখার দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল ।এ নিয়ে জনমনে নানান সন্দেহ দাঁনা বাঁধছে।এদিকে গত মঙ্গলবার রংপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম জাহিদুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক মো. আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মো. ফকরুল আলম, এস আই মুহিব্বুল ইসলাম ও এসআই আব্দুল হালিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত সাড়ে ৯টায় কোতয়ালী থানার পাশের গুড়াতি পাড়া শাহজাহান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মাদক ব্যবসায়ী মো. সুমন সরকার (৩০) ও বগুড়া জেলার সদর থানার চারমাথার গোলাম মোস্তফার ছেলে ফেরদৌস হাসানকে ১১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে আটক করে। এ ঘটনার এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠে ।এলাকাবাসী চলমান বার্তাকে বলেন, যে শান্ত এলাকার মানুষগুলি এখন অশান্ত হয়ে যাচ্ছে কার ছত্রছায়ার এই মাদক ব্যবসা তাদের গ্রেফতার করা জরুরী ।পাশাপাশি কোতয়ালী থানার বেশিরভাগ কর্মকর্তা মুলাটোল,গুড়াতিপাড়ায় বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকে, এই আবাসিক এলাকায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, এস আই, ডিবি,ডিএসবি কনেস্টবল সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনেকেই বসবাররত সেই এলাকায় অহরহ পদচারনা করলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেদারছে এই ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন কর্মকান্ড চলে আসছে। এদের অপকর্ম দেখার কেউ নেই স্থানীয় অনেকেই এবিষয়ে অবগত কিন্তু সন্ত্রাসী প্রকৃতির এসব মাদক ব্যবসায়ী এবং প্রশ্রয় দানকারীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননা। অনেক সচেতন এলাকাবাসী আত্মীয়তার গ্যাড়াকলে পড়ে অপরাধীর তথ্য ফাঁস করতেও দ্বিধাবোধ করে থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার। মাদকাসক্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর ফলে পাড়া-মহল্লাসহ নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধ প্রবণতা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।সচেতন মহল বলেন প্রশাসনের নিজের বাড়ী ঠিক না করে মাদক বিরোধী ব্যাপক প্রচারণা করছেন তাতে লাভ কি? । নিজের ঘর অন্ধকার বাইরে আলোকিত করে লাভ নেই ? একাধিক ব্যাক্তি চলমান বার্তাকে অভিযোগ করে বলেন,কোতআলী থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম কে এলাকার বিষয়ে অভিযোগ ও তথ্য প্রদান করলে তিনি কোন কর্ণপাত করেননা, যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে? ।গত সোমবার মুলাটোলের পুকুরপাড় থেকে দোকানদার বোতলের গাভীন ছাগল চুরি হযে যায় । তাছাড়া এলাকায় ব্যাপকহারে মুরগী চুরি বৃদ্ধিপেয়েছে,গত বুধবার রাতে মাদকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুলাটোলে রাত্রি ২টা পযর্ন্ত হট্রগোল বাধে।
শতাধিক ব্যাক্তিরা স্থানীয় সাংবাদিককে ঘিরে ফেলে এবং বলেন, আপনি যারা মাদক ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেননা কেন? তৎসময় উওেজিত ঘটনাটি স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ এসে সমাধান করে দেন ।
সচেতন মহল ক্ষোভে বলেন যে সাবেক কোতআলী থানার ওসি জিলানী যাই হোক নিজের বাড়ীর এলাকা মাদকমুক্ত রেখেছিলেন তাই মুলাটোলবাসী গর্ব করে তাকে মাদকের উপর সম্মাননা পদক পেয়েছিন । নগরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে সিসি ক্যামেরার সুফল ইতিমধ্যে নগরবাসী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত মানুষজনও পাচ্ছে। গত ১ মাসের ব্যবধানে নগরীর প্রেসক্লাব কমপ্লেক্সে মিলন বাজার, স্যামসংয়ের শোরুমসহ বেশকয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অথচ প্রশাসনের নীরব ভুমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে । নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ইয়াবা’র অপর নাম ‘বাবা’ও গুটি। রংপুর নগরী ও আশাপাশ গ্রাম-গঞ্জের তরুণ যুবকরা এখন বাবা’র নেশায় আশক্ত হচ্ছে। অথচ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ বিপিএম, পিপিএম) স্বয়ং মাদক বিরোধী প্রচারনায় নেমে সচেতনা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। পিছিয়ে নেই রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনিও তার মেধা, দক্ষতা, ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত রংপুর গড়তে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনা, সভা-সেমিনারসহ প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে শপথ করিয়েছেন। এ বিরল উদ্যোগ যেন, কতিপয় পুলিশের কর্মকর্তা, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের প্রকৃত তথ্য জানাসত্বেও অজ্ঞাত কারনে গোপন করে যাচ্ছেন। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য থাকলেও সঠিক তথ্য প্রদান হচ্ছে কি এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে । থানার আশে পাশেই আগুন সন্ত্রসী,জামাত শিবিরের শীর্ষ ক্যাডারনাশকথাকারী জঙ্গীরা পদচারণা ভিন্ন কৌশল অবলন্বল করছে তাদের মদদ দিচ্ছে কে কার নিদেশে এসব চলছে তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন সচেতন সমাজ ।অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে ‘ইয়াবা’র আবির্ভাব ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২০০০ সাল হতে সীমান্তপথে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হয়ে তা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে থাকে। প্রথম দিকে উচ্চমূল্যের কারণে ইয়াবার প্রচলন সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা ব্যপক ভাবে বিস্তৃত। বর্তমানে উত্তেজক ও নেশাকারক এ ট্যাবলেটটির উপকরণ চোরাইপথে এনে দেশের ভেতরেই অনেক স্থানে তা তৈরি করা হয়। যার ফলে দাম কিছুটা কমতে থাকে। ফলে উচ্চবিত্তের গ-ি ছাড়িয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবক-যুবতীদের মধ্যেও ইয়াবার বিস্তার ঘটে। তরুণ-তরুণীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মূল উপাদানের সঙ্গে মেশানো হয় আঙুর, কমলা বা ভ্যানিলার ফ্লেভার, সবুজ বা লাল-কমলা রং। ইয়াবা নামের ছোট্ট এ ট্যাবলেটটি দেখতে অনেকটা ক্যান্ডির মতো, স্বাদেও তেমনই। ফলে আসক্ত ব্যক্তিরা এর প্রচ- ক্ষতিকর প্রভাবটুকু প্রথমে বুঝতে পারে না। এটি পরিবহন ও লুকিয়ে রাখাও সহজ। অধিকাংশ মাদকসেবী ট্যাবলেটটি মুখেই গ্রহণ করে। অনেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ওপর রাখা ট্যাবলেটের অপর প্রান্তে তাপ দিয়ে একে গলিয়ে ফেলে। এরপর সেখান থেকে যে বাষ্প বের হয়, তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। আবার ট্যাবলেটটি গুঁড়ো করে, পানিতে মিশিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরাপথে সরাসরি রক্তেও ঢুকিয়ে দেয় অনেকে। ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। ইয়াবার প্রচ- উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন-উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে স্লিম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন। ঘুম কমিয়ে দেয়, সারারাতের পার্টির আগে ক্লান্তিহীন উপভোগ নিশ্চিত করতে অনেকের পছন্দ ইয়াবা। কিন্তু এই সাময়িক আনন্দের ট্যাবলেটটি যে তাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তা টের পাওয়ারও অবকাশ সে সময় তাদের থাকে না। প্রথমে কম ডোজে এ ট্যাবলেট কাজ করলেও ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে হয়। আগে যে পরিমাণ ইয়াবা আনন্দ এনে দিত, পরে তাতে আর কাজ হয় না। বাড়তে থাকে পরিমাণ, ক্ষণস্থায়ী আনন্দের পর বাড়তে থাকে ক্ষতির নানা উপসর্গ। বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘ইয়াবা’ মাদকটির মূল উপাদান মেথঅ্যামফিটামিন। একসময় যা সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হতো কোনো কোনো দেশে। ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ক্লান্তি দূর করতে ও সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থী, দীর্ঘযাত্রার গাড়িচালক ও দৌড়বিদেরা এটি ব্যবহার শুরু করেন। ধীরে ধীরে এর কুফল বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়াা উদঘাটিত হতে থাকায় বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশে এর উৎপাদন চলতেই থাকে। মেথঅ্যামফিটামিনের সঙ্গে ক্যাফেইন মিশিয়ে ব্যবহৃত হতে থাকে মাদকদ্রব্য হিসেবে। থাইল্যান্ডে এই মাদকটির উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে। গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিনের পথ ধরে বাংলাদেশেও এখন সহজলভ্য হয়ে উঠেছে মাদকটি। অনেকে এর নাম দিয়েছে ‘ক্রেজি মেডিসিন’ বা পাগলা ওষুধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এর লেনদেন হয় ‘বাবা’ নামেই মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের কাছে এ মাদকটি সমাধিক পরিচিত। ইয়াবা একটি থাই শব্দ। চিকিৎসকরা বলেন বেশি পরিমাণে ইয়াবা ব্যবহারে শরীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। আর যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে দেহে ইয়াবা প্রবেশ করায়, তারা হেপাটাইটিস বি,সি ও এইডসের মতো মারাত্মক রক্তবাহিত রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।সুশীল সমাজ মনে করেন, ইয়াবার আগ্রাসন থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রয়োজন সামগ্রিক প্রতিরোধ। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যেসব পথে ইয়াবা ঢুকছে, সেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। দেশের ভিতর ইয়াবার উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়লে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ইয়াবার কুফল সম্পর্কে সবাইকে বিশেষত উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে পাচারের জন্যই মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে ৩৮টি ইয়াবা’র কারখানা। এসব কারখানা থেকে প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি পিস ইয়াবা টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম সীমান্তের ৪৩টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে। সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সংস্থার এক শ্রেণির কর্মকর্তার সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সখ্যতা ও গোপন লেনদেন থাকায় ইয়াবা প্রবেশ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই। রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক নজরদারির কারণে ইদানীং কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচারের ভিন্ন পথ আবিষ্কৃত হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ইয়াবা পাচার শুরু করেছেন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সাগরের চিংড়ি পোনা পাঠানো হয় বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকার চিংড়ি ঘেরগুলোয়। প্রতিদিন এসব জেলার উদ্দেশে অন্তত ১০টি হেলিকপ্টার ছাড়া হয় কক্সবাজার থেকে। ইয়াবা সিন্ডিকেটগুলো চিংড়ি পোনা বহনকারী এসব হেলিকপ্টারেই লাখ লাখ পিস ইয়াবা তুলে দিচ্ছে। পরে এসব ইয়াবা পটুয়াখালী, বাগেরহাট সাতক্ষীরা থেকে সহজেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। উপকূলীয় এসব জেলার কোচগুলো প্রশাসনের তল্লাশির বাইরে থাকায় উল্টো পথে ঢাকায় ইয়াবা ঢোকাতে অনেকটাই সহজতর হচ্ছে ।