রংপুরে মহিশাসুর এলাকায় স্ত্রী কতৃক স্বামী নির্যাতন
https://www.obolokon24.com/2017/05/rangpur551.html
হাজী মারুফঃ
আংশিক নং পুরোটাই সত্যি আমরা খবরের কাগজ খুললেই দেখি স্ত্রী নির্যাতন এবার হলো উল্টো । প্রথম ন্ত্রী বাচ্চা জন্ম না দিতে পারায় ২য় বিবাহ করেন সন্তান লাভের আশায় সেই আশা পুরুণ না হয়ে নির্য়াতনের শিকার হলেন স্বামী । রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের মহিশাসুর এলাকায় স্ত্রী কতৃক স্বামী নির্যাতন, চুরির ও ভাংচুরের ঘটনায় ঘটে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে । গঙ্গাচড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ,গঙ্গাচড়া থানার লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায় গজঘন্টা ইউনিয়নের মহিশাসুর এলাকার আফজাল হোসেনের পুত্র মেহেরুল ইসলাম এর প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় ৫মাস পুর্বে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ঐ এলাকার বাবলু মিয়ার কন্যা ববিতা বেগম (২০) কে বিয়ে করেন। বিয়ের ১মাস পর থেকে সংসারে শুরুহয় ঝগড়া বিবাদ । এ অবস্থায় হঠাৎ করে ২য় স্ত্রী মেহেরুল কে না জানিয়ে আত্মগোপন করে। ২য় স্ত্রী ববিতার বাবা বাবলু মিয়া পুরো এলাকায় হৈহল্লা ফেলিয়ে দেন যে আমার মেয়ে অপহরণ করেছে তার স্বামী ।এ ঘটনায় গত ৮ই মার্চ এলাকায় বিচার শালিস বসিয়ে স্বামী মেহেরুলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এরপর ২য় স্ত্রী ববিতা আত্বীয়র বাসা থেকে ফিরে এসে ভুল শিকার করে আবার সংসার করতে চায় ।এলাকাবাসী অনুরোধে তাকে সুযোগ দেয়া হয়। এরপর গত ২৭শে মে রাত ৮টায় মেহেরুলের বাসায় ২য় স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকেরা পরিকল্পনা করে তাকে লাঠি সোটা নিয়ে মেহেরুলকে বে-ধরক মারপিট ও বাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় চিৎকার করলেও বাবলু মিয়া, আনোযারুল ইসলাম,কাজল মিয়া, বাদল মিয়া, আনোয়ারা বেগম, চিৎকার করে বলে তোকে না মেরে ফেলা পযর্ন্ত আমাদের শান্তি নাই । পরে ববিতা নির্দেশে পুরো বাড়ি ভাংচুর করে পুরা বাসাটি হরিলুট করে মেহেরুলের আলমারীতে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও প্রথম স্ত্রীর ১ভরি স্বর্ন অলংকার ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।আজ বুধবার মেহেরুল বাদি হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অভিযোগ করেন । গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো: জিন্নাহ সাংবাদিকদের জানান আমি অভিযোগ পেয়েছি । দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত মেহেরুলের চিকিৎসা চলছে ।