বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় সাফাত ৬ আর সাদমান ৫ দিনের রিমান্ডে
https://www.obolokon24.com/2017/05/raif.html
ডেস্ক
: রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদের ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি।রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান উল ইসলাম সাফাতকে ৬ দিন ও সাদমানকে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন শুক্রবার সকালে বলেন, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত ধর্ষককে সিলেট থেকে ঢাকায় আনা হয় রাতে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাবাসাদ করা হয় তাদের।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা আছে বলে প্রতীয়মান হয়। তবে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কৃষ্ণপদ রায় আরও বলেন, ওই ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছ। কমিটিতে যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ), ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ), উপকমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ), উপকমিশনার (গুলশান) ও উপকমিশনার উইমেন সাপোর্ট সেন্টার রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার সময় সিলেটের জালালাবাদ এলাকার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাশের একটি দোতলা বাড়ি থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।