নীলফামারী চীফ জুডিসিয়াল আদালত বিচারক-সংকটে মামলার জট
https://www.obolokon24.com/2017/05/nilphamari_12.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১২ মে॥
বিচারক-সংকটের কারণে নীলফামারী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিভিন্ন আদালতে মামলার জট সৃষ্টি হয়েছে। পুরনো মামলা গুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। এতে বিচারপ্রার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছেন। গ্রাম থেকে শহরে বারবার আসা-যাওয়া করতে হয় বলে তাঁদের দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া ওই আদালতের নিজস্ব ভবন না থাকায় সেখানে বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ছোট পরিসরে বারান্দা আর এজলাসে প্রতিদিনেই বিচারপ্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে ঠেলাঠেলি করতে হয়। আদালত ও আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয় উপজেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিভিন্ন আদালতে বিচারকের ৯টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য। এর মধ্যে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তিনটি পদের মধ্যে দুটি ও জুডিসিযাল ম্যাজিস্ট্রেট ৪টি পদে তিনটি শুন্য হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৫ বছর ধরে।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯২ মামলা বিচারাধীন। এরমধ্যে বিচারিক ও আমলী আদালতে পাঁচ হাজার ৮৬০টি ও পুলিশ ফাইল(জিআর) মামলা ৭৩২টি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক না থাকায় দ্রুত মামলা নি®পত্তির পরিবর্তে মামলাজট বেড়ে চলেছে। ফলে মামলা নি®পত্তি না হওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা দিনের পর দিন আদালতে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আইনজীবী ও তাঁদের সহকারীদের ফি দিয়ে মামলার পরবর্তী তারিখ নিয়ে বিষণœ মনে বাড়ি ফিরছেন।
বেশ কিছু বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কেউ ৫০ কিলোমিটার অদুরের ডিমলা, কেউবা ২২ কিলোমিটার অদুরের ডোমার, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলা হতে এসেছে। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিচারক সংকটের কারনে বিভিন্ন মামলার বাদী বা বিবাদী এসে হাজিরা দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এ জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এ ছাড়া মহকুমা থাকাকালিন যে মুনসেফ আদালতের পুরানো ছোট ভবনটি রয়েছে-সেখানেই চলছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটেটের বিভিন্ন আদালতের বিচারকার্য্য। ফলে ছোট পরিসরের পুরানো ভবনের বারান্দা ও এজলাসে বিচারপ্রার্থীদের ঠেলাঠেলি আর উপচেপড়া ভিড় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিচারক ও ভবন সংকটের কথা স্বীকার করে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ্ মোঃ সফিকুল আলম বলেন, বিচারক সংকটের কারণেই আদালত গুলোয় মামলাজট বাড়ছে। এ ছাড়া নতুন ভবনের জরুরী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। #