কিশোরগঞ্জে মুখি কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
https://www.obolokon24.com/2017/05/kisargargang.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কচু( মুখি কচু, ওল কচু) চাষে আগ্রহী হয়েছে উঠেছে এই এলাকার কৃষক। উৎপাদন খরচ কম ও সেচ কম লাগার কারনে লাভ বেশি হওয়ায় গত কয়েক বছরে এ উপজেলায় কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা । তাছাড়া ধানসহ অন্য ফসলের লাভের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে । আর কচু চাষে খরচ কম, ফলনও ভাল। চলতি মৌসুমে বাজারে কচুর দামও ভাল । মৌখিক মান , জাতি, ও লতিরাজ নামে উচ্চ ফলনশীল কচুর চাষ বাজারে বেশি হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৪৫ হেক্টর জমিতে এবার কচু চাষ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৫০ মন পর্যন্ত কচু হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি কচু বাজারে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মন কচুর দাম ৮০০ টাকা।প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ দাড়ায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের লাভ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা । আর এ কচু চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা কচু চাষে ঝুকে পড়েছেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের কচু চাষি বুলবুল মিয়া বলেন, গত বছর ধানের দাম কম থাকায় প্রচুর লোকসান গুনেছিলাম । তাই এবার ধানের পরিবর্তে ৩ বিঘা জমিতে কচুর চাষ করেছি। আশা করছি তিন বিঘা জমিতে আমার কমপক্ষে ১ শত মণ কচু হবে। প্রতিমন কচু ৮০০ টাকা হারে বিক্রি করলে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। তিন বিঘা জমিতে কচু চাষ করতে বীজসহ আমার খরচ দাড়িয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। বাজার ঠিক থাকলে তিন বিঘা জমির কচু বিক্রি করে আমি ৪০ হাজার টাকা লাভ করব।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা গ্রামের কচু চাষি আব্দুল মান্নান জানান, ধান চাষের পাশাপাশি বেগুন, কাচাঁ মরিচ,ফুলকপি, বাঁধাকপি,সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন তিনি । কিন্তু গত কয়েক বছর থেকে কচু চাষ করে তিনি নিজের ধার দেনা মিটিয়ে ফেলেছেন। চলতি মেীসুমে তিনি ৬ বিঘা জমিতে কচুর চাষ করেছেন। এবারে তিনি কচু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এক লক্ষ টাকা আয় করবেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, কচু চাষে উৎপাদন খরচ কম লাভ বেশি। ফলনও বেশি। বর্তমানে বাজারে আলুর থেকে কচুর দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা কচু চাষে ঝুকে পড়েছেন।