কিশোরগঞ্জে বাঁধ প্রতিরক্ষামুলক কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2017/05/kisargang_31.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি চাড়ালকাটা নদীর বাঁমতীর বাধ প্রতিরক্ষামূলক কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে বাধ প্রতিরক্ষামূলক কাজটি হুমকীর মুখে পড়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে উত্তর দুরাকুটি চাড়াল কাটা নদীর বাম তীরের ৮০০ মিটার বাধ প্রতিরক্ষা মূলক কাজে ২কোটি ৫০লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজটি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাকিব ব্রার্দাস। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তারিখে কাজটি শুরু করে। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০১৬সালের ৩০জুন কিন্তু কাজের ধীর গতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষ না করে ১বছর সময় বাড়িয়ে নেয়। ফলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে একটি ময়দানসহ কাচারীর হাট থেকে তারাগঞ্জ উপজেলায় যোগাযোগের পাকা রাস্তাটি হুমকীর মুখে পরেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এবারেও বর্ষার আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ শেষ করতে না পারলে ৫হাজার লোকের জমায়েতের ময়দানসহ আরো ৫০বিঘা ফসলি জমি বর্ষা মওসুমে নদী গর্ভে বিলীন হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান, মেসার্স রাকিব ব্রাদাসের প্রোপাইটর মোঃ রাকিব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই বর্তমান যে অবস্থা তাতে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদের সাথে কথা বললে তিনি অনিয়ম দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করা হবে।
প্রকল্প এলাকার মতিয়ার রহমান,একাব্বর আলী ও জামিনুর রহমানসহ অনেকে বলেন, নদীর ভাঙ্গন রোধ কল্পে ডালিয়া থেকে নূড়ি পাথর মিশ্রিত বালু দিয়ে সিসি ব্লক নির্মান করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ওই নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সিসি ব্লক নির্মান করছে। এতে করে কাজের মান কমে যাচ্ছে। কিন্তু সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকেীশলী ও তদারকি কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম এলাকাবাসীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ০.৫ এফএম গ্রেডের বালু হলেই চলবে। এতে কাজের মান কমার কোন সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া সিসি ব্লক তৈরীর পর সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।