কিশোরীগঞ্জ উপজেলা মাদক মুক্ত ঘোষণা ১৫মে
https://www.obolokon24.com/2017/05/kisargang_12.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়/শামীম হোসেন বাবু , নীলফামারী ১২ মে॥ নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে “মাদক মুক্ত” গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ বিভাগ। ইতোমধ্যে মাদক মুক্ত ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স¤পন্ন করছে সংশ্লিষ্টরা। প্রশংসনীয় এই উদ্যোগ সহজী করণে পুলিশকে সহযোগীতা করছে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা। চলতি মাসের ১৫মে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলাটিকে মাদক মুক্ত ঘোষণা দেয়ারও প্রস্তুতি চলছে জোড়েশোড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে সাটানো হয়েছে বিলবোর্ড, স্টিকার আর জনসাধারণের কাছে বিতরণ করা হচ্ছে মাদক বিরোধী লিফলেট।
কিশোরীগঞ্জ থানা সুত্র জানায়, উপজেলার ৪৫টি ¯পটে মাদক সেবন ও কেনাবেচা হতো। ৩১৪জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী মাদক দ্রব্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ গেল বছরের ২০জুলাই যোগদানের পর থেকে মাদকমুক্ত গড়ার উদ্যোগ নিলে সেটি বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে। শুরু করা হয় সভা, সমাবেশ, মিছিল মিটিং, সেমিনার, আলোচনা সভা ও সচেতনতা মুলক নানান কর্মসুচী। যা অব্যাহত রয়েছে এখোনো।
কিশোরীগঞ্জ থানার এসআই সহিদুল ইসলাম, চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে ৪০জনকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র এবং ৪৫জনকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করে পুর্নবাসন করা হয়েছে পুলিশের উদ্যোগে। নিরাময় কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পরিবার চালানো হচ্ছে পুলিশের তত্বাবধানে। আরেক এসআই খাদেমুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের পর থেকে উপজেলার কোথাও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেন এমন কেউ দাম্ভোক্তি করতে ভয় পান। শুধু প্রকাশ্যেই নয় অন্ধকারেও সেবন করতে ভয় করতে হয় তাদের।
থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম বলেন, মাদক মুক্ত গড়তে উপজেলায় ৮১টি ওয়ার্ড, ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, যাদের আমরা মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি তারা আবারো যুক্ত হচ্ছে কিনা, সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সাধারণ স¤পাদক আনিছুল ইসলাম পুলিশের উদ্যোগকে প্রশংসনীয় আখ্যা দিয়ে বলেন, পুলিশের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। পরিষদও যুক্ত হয়েছে উদ্যোগ বাস্তবায়নে। তিনি বলেন, মাদকের ভয়াবহতা ছিলো এই উপজেলায়। আস্তানা গড়েছিলো মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, আমরা উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানাই। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করছি। যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিলো। উঠতি বয়সের ছেলেরা বিপদের দিকে পা বাড়াচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, মাদক ও জুয়ার কারণে মাদক সেবীরা পরিবারের লোকজনদের সাথে অত্যাচার করে, বাবা-মাকে মারধোর করে, স্ত্রীকে নির্যাতন করে এমনকি মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করার মত ঘটনা আমরা দেখেছি।
তিনি উল্লেখ করেন, মাদক পুরোপুরি নির্মুল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে উপকৃত হবেন উপজেলাবাসী। এজন্য আমরা পুলিশ বিভাগকে সহযোগীতা করবো।
উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি সাইদ হোসেন সাবুল বলেন, নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে সবশ্রেণী পেশার মানুষদের স¤পৃক্ত করতে হবে মহৎ এই কাজে। যাতে কেউ অসহযোগীতার হাত না বাড়ান। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে আমরা, আমাদের ভবিষ্যৎ মনে রাখবে।
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি ও মাদক মুক্ত গড়ার উদ্যোক্তা বজলুর রশিদ বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান “জিরো টলারেন্স”। কোন ছাড় নেই। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাদকের সাথে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্ধশতাধিক মামলা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি সবাইকে নিয়ে মাদক মুক্ত উপজেলা গড়ার জন্য।
তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান, উপজেলার যে কোন স্থানে মাদক সেবন করা হলে অথবা বিক্রি করা হলে তাৎক্ষনিক আমাদের জানাতে। তিনি মন্তব্য করেন, যুব সমাজ রক্ষা করতে হলে মাদক রুখতে হবে।
পুরো নীলফামারী জেলাকে মাদক মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, প্রথম পর্যায়ে কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে আমরা শুণ্যের কোটায় নিতে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা শেষে জেলাকে মাদক মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। গেল দুই মাসে জেলায় অন্তত ৩০০ মামলা করা হয়েছে। ১৫মে সবার অংশগ্রহণে কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে মাদক মুক্ত ঘোষণা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গতঃ- ২০১৪ সালের ৫জুলাই কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। সেটির উদ্যোক্তা ছিলেন তৎকালিন ইউএনও ও বর্তমান নড়াইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্দিকুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে সাটানো হয়েছে বিলবোর্ড, স্টিকার আর জনসাধারণের কাছে বিতরণ করা হচ্ছে মাদক বিরোধী লিফলেট।
কিশোরীগঞ্জ থানা সুত্র জানায়, উপজেলার ৪৫টি ¯পটে মাদক সেবন ও কেনাবেচা হতো। ৩১৪জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী মাদক দ্রব্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বজলুর রশিদ গেল বছরের ২০জুলাই যোগদানের পর থেকে মাদকমুক্ত গড়ার উদ্যোগ নিলে সেটি বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে। শুরু করা হয় সভা, সমাবেশ, মিছিল মিটিং, সেমিনার, আলোচনা সভা ও সচেতনতা মুলক নানান কর্মসুচী। যা অব্যাহত রয়েছে এখোনো।
কিশোরীগঞ্জ থানার এসআই সহিদুল ইসলাম, চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে ৪০জনকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র এবং ৪৫জনকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করে পুর্নবাসন করা হয়েছে পুলিশের উদ্যোগে। নিরাময় কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পরিবার চালানো হচ্ছে পুলিশের তত্বাবধানে। আরেক এসআই খাদেমুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের পর থেকে উপজেলার কোথাও প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেন এমন কেউ দাম্ভোক্তি করতে ভয় পান। শুধু প্রকাশ্যেই নয় অন্ধকারেও সেবন করতে ভয় করতে হয় তাদের।
থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল ইসলাম বলেন, মাদক মুক্ত গড়তে উপজেলায় ৮১টি ওয়ার্ড, ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি যুক্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, যাদের আমরা মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি তারা আবারো যুক্ত হচ্ছে কিনা, সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সাধারণ স¤পাদক আনিছুল ইসলাম পুলিশের উদ্যোগকে প্রশংসনীয় আখ্যা দিয়ে বলেন, পুলিশের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। পরিষদও যুক্ত হয়েছে উদ্যোগ বাস্তবায়নে। তিনি বলেন, মাদকের ভয়াবহতা ছিলো এই উপজেলায়। আস্তানা গড়েছিলো মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ স¤পাদক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, আমরা উদ্যোগকে স্বাধুবাদ জানাই। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগীতা করছি। যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিলো। উঠতি বয়সের ছেলেরা বিপদের দিকে পা বাড়াচ্ছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, মাদক ও জুয়ার কারণে মাদক সেবীরা পরিবারের লোকজনদের সাথে অত্যাচার করে, বাবা-মাকে মারধোর করে, স্ত্রীকে নির্যাতন করে এমনকি মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করার মত ঘটনা আমরা দেখেছি।
তিনি উল্লেখ করেন, মাদক পুরোপুরি নির্মুল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে উপকৃত হবেন উপজেলাবাসী। এজন্য আমরা পুলিশ বিভাগকে সহযোগীতা করবো।
উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি সাইদ হোসেন সাবুল বলেন, নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে সবশ্রেণী পেশার মানুষদের স¤পৃক্ত করতে হবে মহৎ এই কাজে। যাতে কেউ অসহযোগীতার হাত না বাড়ান। উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে আমরা, আমাদের ভবিষ্যৎ মনে রাখবে।
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি ও মাদক মুক্ত গড়ার উদ্যোক্তা বজলুর রশিদ বলেন, মাদকের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান “জিরো টলারেন্স”। কোন ছাড় নেই। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাদকের সাথে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্ধশতাধিক মামলা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি সবাইকে নিয়ে মাদক মুক্ত উপজেলা গড়ার জন্য।
তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান, উপজেলার যে কোন স্থানে মাদক সেবন করা হলে অথবা বিক্রি করা হলে তাৎক্ষনিক আমাদের জানাতে। তিনি মন্তব্য করেন, যুব সমাজ রক্ষা করতে হলে মাদক রুখতে হবে।
পুরো নীলফামারী জেলাকে মাদক মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, প্রথম পর্যায়ে কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে আমরা শুণ্যের কোটায় নিতে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা শেষে জেলাকে মাদক মুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে। গেল দুই মাসে জেলায় অন্তত ৩০০ মামলা করা হয়েছে। ১৫মে সবার অংশগ্রহণে কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে মাদক মুক্ত ঘোষণা দেয়া হবে।
প্রসঙ্গতঃ- ২০১৪ সালের ৫জুলাই কিশোরীগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হয় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। সেটির উদ্যোক্তা ছিলেন তৎকালিন ইউএনও ও বর্তমান নড়াইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্দিকুর রহমান।