ডোমারে দুঃস্থ মাতার চাউল বিতরনে অনিয়ম, ইউএনও বরাবরে অভিযোগ।
https://www.obolokon24.com/2017/05/domar_10.html
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে দুঃস্থ মাতার চাউল বিতরনে অনিয়ম, ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দাখিল। ঘনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মধ্য জোড়াবাড়ী ম্যানেজার পাড়া গ্রামে। অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, উক্ত গ্রামের সহিদুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন বেগম (২১) এর নামে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী আওতায় (দুঃস্থ) মাতার ১টি কার্ড বরাদ্ধ হয় যাহার নং-৮২। চাউল উত্তোলনের সময় ২ বস্তা চালের পরিবর্তে ১বস্তা প্রদান করে ও অপর বস্তাটি আটকে রাখে চেয়ারম্যান। এর বিনিময়ে অফিস খরচ বাবদ টাকা দাবী করলে বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তি নুরনবী মুন্সির হাতে কার্ড বাবদ ২৫০০ টাকা প্রদান করে জেসমিন। ২য় কিস্তির চাল চাইতে গেলে আজ কাল বলে টালবাহানা করে কাটিয়ে দেয় এবং কার্ডটি সু-কৌশলে হাতিয়ে নেয় তারা, এবং এর জন্য আবারো টাকা দাবী করে নইলে নাম কেটে দিবে বলে হুমকি দেয়। এবিষয়ে ১৯/০৪/১৭ তারিখে জেসমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ সাবিহা সুলতানার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অপরদিকে জেসমিন অভিযোগ করেন, তার প্রতিবেশী সাদ্দামের স্ত্রী রুকশানা বেগম বেশী টাকা দিয়েছে তাই আমার নামের কার্ডের সাথে তার ছবি লাগিয়ে কার্ডটি বেহাত করার চেষ্টা করছে বলে জানান। তবে রুকশানা চেয়ারম্যানের নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যাক্তি নুরুর হাতে ৩হাজার টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেন। একই কার্ডের জন্য ২ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ায় এঘটনাটি ঘটেছে বলে তারা জানান। এবিষয়ে চেয়ারম্যান আবুল হাচান বলেন, তাদের ২বস্তা চাউল পরিষদে জমা আছে, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেছে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত চাউল জমা থাকবে। তবে জেসমিনের শশুরের ৪বিঘা জমি আছে কার্ডটি রুকশানা পাওয়ার যোগ্য।