চিরিরবন্দরে যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আসামীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
https://www.obolokon24.com/2017/05/dinajpur_14.html
মোঃ আব্দুস সাত্তার,দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও আসামীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠণ যুবলীগের দ্বন্দ্ব এখন চরম আকার ধারণ করেছে। দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে যুবলীগের নেতা কর্মীরা। কেউ কাউকে না মানার কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী ও ক্রীড়া সম্পাদক মোকছেদুল মমিনসহ তৃণমুল পর্যায়ের আরও তিন নেতাকে পিটিয়ে সন্ত্রাসীরা গুরুতর জখম করেছে। আহত নেতাদেরকে উদ্ধার করে বর্তমানে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে গত ৪ মে চিরিরবন্দর থানায় মামলা দায়ের করে । মামলা নং ৭৯/১৭।
এদিকে আহত যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মোকছেদুল মমিন গত ৮ মে ১১জনের বিরুদ্ধে চিরিরবন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন আসামীরা যুবলীগের কেউ নন, যারা আমার আন্ধারমুহা পন্ডিতপাড়ার বাড়ীতে আক্রমণ করেছে তারা জামায়াত, শিবির ও বি,এন,পির দোসর বলেতিনি দাবী করেন। যুবলীগ চিরিরবন্দর শাখায় কোন কোন্দল নাই। যারা অস্ত্র হাতে বাড়ীর ভিতরে হামলা চালিয়েছে তারা সবাই সন্ত্রাসী। প্রত্যেকের নামে চিরিরবন্দর থানায় চুরি, ছিনতাই, রাহাজানিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার মামলা রয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, আন্ধারমুহা শাহাপাড়া গ্রামের মৃত হাজী রহিম বক্স এর পুত্র মোঃ নূরুল আমিন শাহ্(৪৫), একই গ্রামের নূরুল আমিন শাহর পুত্র মাহাফুজুর রহমান (২২), চিরিরবন্দর থানাপাড়ার আব্দুস সোবহানের পুত্র হারুনূর রশিদ হারুন (৪০), উপজেলার কোর্ট পাড়ার আজিজুল হকের পুত্র মাহাফুজুল ইসলাম আসাদ (৩২), আন্ধারমুহা শাহাপাড়ার নূরুল আমিন শাহ্র পুত্র মোহাম্মদ আলী (৩২), পীরপাড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র নূর আলম, উপজেলার তাছির উদ্দিনের পুত্র ময়নুদ্দিন (৪০), আন্ধারমুহা শাহাপাড়ার জামাউল্লাহর পুত্র মমিনুল ইসলাম (৩২) ও থানাপাড়ার মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মাহাবুর রহমান (৩৫)।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সুমন দাস বলেন, সংগঠনকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে সংগঠনে ফাটল ধরানোর কর্মকান্ডে তারা লিপ্ত। হালুয়া রুটির আশায় যারা সংগঠনে প্রবেশের চেষ্টা করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়া হবে। যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এসব সন্ত্রাসীদের উপজেলাবাসী অচিরেই প্রতিহত করবে।