সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদারে ঢাকা-ভিয়েনার ঐকমত্য
https://www.obolokon24.com/2017/05/dhaka-vieana.html
ডেস্কঃ
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ঢাকা-ভিয়েনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান কার্ন আজ ফেডারেল চ্যান্সেলারিতে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খবর বাসসের।তাঁরা বলেন, ‘আমরা পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার এবং এই পৃথিবীর স্থায়িত্বের বিষয়ে একমত হয়েছি।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আজ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেয়া এক বিৃবতিতে একথা বলেন।
কার্ন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অষ্ট্রিয়ায় প্রথম সরকারি সফর ঢাকা এবং ভিয়েনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর বলেন, বাংলাদেশ ’৭০-এর দশকের গোড়ার দিকেই একটি গর্বিত স্বাধীন জাতি হিসেবে জন্মলাভ করলেও এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক কাছাকাছি ছিল না। কিন্তুু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্যদিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিবৃতিতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তাঁর এই অস্ট্রিয়া সফর ঢাকা এবং ভিয়েনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে গতিশীলতা সঞ্চার করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমার এই অষ্ট্র্রিয়া সফর দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে আরো গতিশীলতা আনবে।’
‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৪ সালে আমরা ভিয়েনায় আবাসিক মিশন চালু করেছি, যেটা আমাদের পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির এবং আরো কাছাকাছি আসার আন্তরিকতারই পরিচায়ক।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এবং অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর যৌথভাবে খুঁজে বের করেছেন তাদের দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতার প্রধান ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- কৃষি, পশু পালন, যোগাযোগ, ব্যবসা ও বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, আমরা বৈশ্বিক প্রেক্ষপটে বিশেষ করে বৈশ্বিক সন্ত্রাস এবং উগ্রচরমপন্থা নিয়েও মত বিনিময় করেছি।