রাণীশংকৈলে সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে অবাধে গড়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা
https://www.obolokon24.com/2017/04/thakurgaon_24.html
সফিকুল ইসলাম শিল্পী ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সদর থেকে প্রায় হাফ কোয়াটার মাইল পূর্বে একটি বিলের মধ্যে কুলিক নদীর তীরে সারিবদ্ধ ভাবে প্রায় ৮-১০ টি ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা করছে একশ্রেণীর প্রভাবশালীরা।। সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে অবাধে গড়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা।আর ইটভাটায় অবৈধভাবে হাজার হাজার মেট্রিকটন কাঠ পুড়ছে। বৃক্ষ নিধন করায় পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ছে।
এতে করে যেমন আবাদী জমি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলবান বৃক্ষের ফল কমে গেছে, শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন- নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এদিকে মীরডাঙ্গী বাজারের ১কিঃমিঃ পূর্বে নতুন ভাটার নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। ইটভাটা বন্ধের জন্য মীরডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান সহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ এবং সচেতন মহল ইতো মধ্যে ইউএনও বরাবর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এছাড়াও রাজোর এলাকার রুহুল আমিনের আর,বি,বি ইটভাটা দ্বারা বায়ু দূষণ হওয়ায় কৃষকের ফসল হুমকির মুখে পড়ায় ঐ এলাকার কৃষক আব্দুল বাসেদ অভিযোগ দায়ের করে। এধরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে। উপজেলার নিকটে অধিকাংশ জমিতে ইটভাটা হওয়ায় ধবংশ হচ্ছে সবুজ গাছপালা ও আবাদী ফসলের জমি।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ইটভাটার মালিকরা কয়লার পরিবর্তে কাঠ, বাঁশের মুড়া, টায়ার পুড়ানোর পাশাপাশি শিশুদের দিয়ে অনেক কঠিন পরিশ্রমের কাজ করিয়ে নিচ্ছে। যা শিশু শ্রমের মধ্যেও পড়ে। অপরদিকে কারণ ছাড়াই ইটভাটা মালিকরা সেন্ডিকেট করে ইটের দাম বাড়িয়ে অধিক মূনাফা ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, কতিপয় ব্যক্তিদের সিন্ডিকেড করে এসব অনিয়মের মাধ্যমে ইটভাটার মালিকরা দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ-প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন- বিষয়টি তিনি দেখবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাঃ নাহিদ হাসান বলেন- সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহম্মদ হোসেন বিপ্লব বলেন-সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন।