মঙ্গল কোনো হিন্দুয়ানি শব্দ না : প্রধানমন্ত্রী
https://www.obolokon24.com/2017/04/seakh-hasina_67.html
ডেস্কঃ
সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণে হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলোর দাবির সঙ্গে সহমত জানালেও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার নিজের কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন বর্ষরণের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণে দাবি জানিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাড়িতে হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এক দল ওলামার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এদিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নিয়ে হেফাজতের মতো সংগঠনগুলোর বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির নববর্ষ হিসেবে মুঘল আমল থেকেই পালন করা হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মুঘল আমল থেকেই শুরু হয়। মঙ্গল কোনো হিন্দুয়ানি শব্দ না। ”
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন,“বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সাথে ধর্মের কোনো যোগ নেই। এটা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। সকল ধর্মের মানুষ একসাথে বাংলা বছরের প্রথম দিন উদযাপন করে। ”
তিনি আরো বলেন, বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে অনেকে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইরানসহ বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের কথাও উল্লেখ করেন বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখানে ধর্মকে টেনে আনার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ”
মাছ রক্ষায় নববর্ষ উদযাপনে ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান আবারও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরসিংদী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শপথ বাক্য পাঠ করান। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) বিভাগের সচিব আবদুল মালেক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এ সময় এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আবদুল মতিন ভূঁইয়া গত ১৬ মার্চ নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পয়লা ফেব্রুয়ারি সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের ইন্তেকালে পদটি শূন্য হয়।