স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছি।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নতুন বাসভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে না দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ন্যায়বিচারের চাকাকেও’।

তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। কয়েকজন পালিয়ে থাকলেও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বেশিরভাগের ফাঁসির রায় কার্যকরও হয়েছে। বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে। এসব বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে।’

বিচারপতিদের যুগান্তকারী রায় দেওয়ার মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রা শুরু এবং সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ায়, সহযোগিতা করায় অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে সুসংগঠিত করে দিয়ে গেছেন। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন। এ জন্য আমি শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় তিন নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি বলেন, ‘৭৫ এর পরে শুরু হওয়া বিতর্কগুলোকে হটাতে সাহায্য করেছে বিচারপতিদের এক একটি রায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক জেলায় বিচারিক আদালত স্থাপন করেছি। সেখানকার বিচারপতিদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা জোরদার করেছি।

নতুন আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে পার্লামেন্টে আইন পাস হয় না। আইনটা একটা মন্ত্রণালয় থেকে আসে। তারপর ক্যাবিনেট ডিভিশনে আসে। সেখান থেকে আমরা ক্যাবিনেটে বসি, সিদ্ধান্ত দেই। এরপর এটা চলে যায় আইন বিভাগে। সেখান থেকে আবার ক্যাবিনেট আসে। এরপর সেটা চলে যায় পার্লামেন্টে। আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে চলে যায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে। তারপর আসে পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর বিরোধী কারও আপত্তি থাকলে তারা তা জানায়। যদি সে আপত্তি গ্রহণযোগ্য হয় সেটা গ্রহণ করা হয়। গ্রহণযোগ্য না হলে চলে যায় পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। সেখানে আলাপ-আলোচনাসহ নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আইন পাস হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা আইন এতগুলো ধাপ পেরিয়ে পাস হয়। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে বলা আছে, ক্ষমতার মালিক হচ্ছে জনগণ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন প্রণয়ন করছে। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হয় যাতে জনস্বার্থ ক্ষুণ্ন না হয়। সেই আইন দুজন বসে নাকচ করে দিলে আর কিছুই করার থাকলো না। এতদিন ধরে খাটাখাটুনি করলো সবগুলো ব্যর্থ হয়ে গেল। এসব ক্ষেত্রে আরও বিবেচনা করা উচিত।’

এর আগে বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছে জানান। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নতুন বাসভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করায় প্রধানমন্ত্রী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালায়কে ধন্যবাদ জানান।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6042493641455956864

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item