সৈয়দপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন
https://www.obolokon24.com/2017/04/saidpur_36.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সৈয়দপুর উপজেলায় ২০১৬ - ২০১৭ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (৪০দিনের) দ্বিতীয় পর্যায়ের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী নিজ হাতে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে কর্মসূটির মাটি কাটা কাজের উদ্বোধন করেন।
সকালে উপজেলার ২ নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খিয়ারপাড়ায় এ কর্মসূচির কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের (পিআইও অফিস) উপ-সহকারী প্রকৌশলী শ্রী নিমাই চন্দ্র রায়সহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য-সদস্যা ও প্রকল্প কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে পর্যায়ক্রমে উপজেলার খাতামধুপুর, কামারপুকুর, বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী প্রতিটি ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকায় গিয়ে এ কর্মসূচির কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য প্রকল্প কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বায়স্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে সর্বমোট ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওয়েজ কষ্ট খাতে বরাদ্দ ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, নন-ওয়েজ কষ্ট খাতে বরাদ্দ ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৪৫ টাকা এবং সর্দার ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। আর বরাদ্দপ্রাপ্ত অর্থের বিপরীতে প্রতিটি ইউনিয়নের ৫টি করে ২৫ টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।
আর ৫টি ইউনিয়নে উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা হচ্ছে ৯৫৫জন।
ইউনিয়নওয়ারী উপকারভোগীর সংখ্যা হচ্ছে উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নে ১৭২জন, ২ নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ২১৯ জন, ৩ নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে ১৩৯ জন,৪ নম্বর বোতলাগাড়ীতে ২৫০ জন এবং ৫নম্বর খাতামধুপুরে ১৭৫ জন।
প্রতি সপ্তাহের শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উপকারভোগী শ্রমিকরা প্রকল্প এলাকায় মাটি কাটার কাজ করবেন। একজন সুবিধাভোগী শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ টাকা হিসেবে মজুরী পাবেন। এর মধ্যে প্রতিদিন ১৭৫ টাকা হারে শ্রমিকদের ব্যাংক হিসেবের মাধ্যমে প্রতি বৃহস্পতিবার মজুরী প্রদান করা হবে। মজুরী অবশিষ্ট ২৫ টাকা শ্রমিকদের স্ব স্ব ব্যাংক হিসেবে সঞ্চয় হিসেবে জমা থাকবে। কর্মসূচির মেয়াদ শেষে শ্রমিকরা সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।