সৈয়দপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এক নেতার হাতে একাধিক নেতা লাঞ্চিত॥ তোলপাড়
https://www.obolokon24.com/2017/04/saidpur_30.html
বিশেষ প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল॥
নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের সামনে সৈয়দপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর জুড়ে তোলপাড় সৃস্টি করেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে গতকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ করে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক স¤পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক ও দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে স্থানীয় নেতারা এক এক করে তাদের দলীয় বক্তব্য পেশ করছিলেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা ধৈর্য্য সহকারে নেতা কর্মীদের বক্তব্য শুনছিলেন। কিন্তু সমাবেশে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন না। স্থানীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে অভিযোগ তুলে বলেন আমজাদ হোসেন সরকার দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রহস্যজনক আচড়ন করছেন। তাকে দলীয় কোন কর্মকান্ডে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সম্ভবত ভেতরে ভেতরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন যা অনেকাংশ সাধারন মানুষের কাছেও প্রমানিত হচ্ছে। এমন বক্তব্যে খবর পৌছে যায় আমজাদ হোসেন সরকারের নিকট। এমন খবর পেয়ে আমজাদ হোসেন সরকার ছুটে আসেন দলীয় কার্যালয়ে এবং কয়েকজন নেতা কর্মীর উপর চড়াও হন। অকথ্য গালাগালি দিয়ে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি গতবারের বিএনপির নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা এ্যডভোকেট ওবায়দুর রহমানের গায়েও হাত তোলেন। পৌরমেয়র আমজাদ হোসেনের এই আচরনে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা হতবাক হয়ে যান এবং সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিটিং এ উপস্থিত সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আমজাদ হোসেনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় আমজাদ হোসেন সরকার স্থান ত্যাগ করে চলে যান। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা আমজাদ হোসেন সরকারের অশোভন আচরণের জন্য দলের হাইকমান্ড থেকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন।
এ সময় সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যতই অন্যায় অত্যাচার আর ষড়যন্ত্র হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ হয়েই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। তিনি বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার উপ-নির্বাচন বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে বিজয় অর্জন করতে হবে।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ধানের শীষ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রওনক জাহান রিনু, সাবেক ছাত্রদল নেতা কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, বিএনপি নেতা শামসুল আলম, নজরুল ইসলাম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ স¤পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিজওয়ান হোসেন পাপ্পু প্রমুখ।
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আরো বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন বিএনপির অংশগ্রহণ একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে বিএনপিকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। তিনি বলেন দলের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক, কোন লাভ হবে না। দলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য কাজ করতে হবে। অধ্যক্ষ দুলু বলেন, সৈয়দপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতা সৈয়দপুরে আসবেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি আগামী ১৬ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রভাষক শওকত হায়াত শাহকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
নীলফামারীর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের সামনে সৈয়দপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সৈয়দপুর জুড়ে তোলপাড় সৃস্টি করেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন সরকার ভজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রয়েছে। দলের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিতে গতকাল শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা হতে গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ করে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক স¤পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক ও দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে স্থানীয় নেতারা এক এক করে তাদের দলীয় বক্তব্য পেশ করছিলেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা ধৈর্য্য সহকারে নেতা কর্মীদের বক্তব্য শুনছিলেন। কিন্তু সমাবেশে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন না। স্থানীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে অভিযোগ তুলে বলেন আমজাদ হোসেন সরকার দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রহস্যজনক আচড়ন করছেন। তাকে দলীয় কোন কর্মকান্ডে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সম্ভবত ভেতরে ভেতরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন যা অনেকাংশ সাধারন মানুষের কাছেও প্রমানিত হচ্ছে। এমন বক্তব্যে খবর পৌছে যায় আমজাদ হোসেন সরকারের নিকট। এমন খবর পেয়ে আমজাদ হোসেন সরকার ছুটে আসেন দলীয় কার্যালয়ে এবং কয়েকজন নেতা কর্মীর উপর চড়াও হন। অকথ্য গালাগালি দিয়ে তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এমনকি গতবারের বিএনপির নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা এ্যডভোকেট ওবায়দুর রহমানের গায়েও হাত তোলেন। পৌরমেয়র আমজাদ হোসেনের এই আচরনে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা হতবাক হয়ে যান এবং সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মিটিং এ উপস্থিত সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আমজাদ হোসেনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় আমজাদ হোসেন সরকার স্থান ত্যাগ করে চলে যান। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা আমজাদ হোসেন সরকারের অশোভন আচরণের জন্য দলের হাইকমান্ড থেকে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন।
এ সময় সমাবেশে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যতই অন্যায় অত্যাচার আর ষড়যন্ত্র হোক না কেন, ঐক্যবদ্ধ হয়েই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। তিনি বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার উপ-নির্বাচন বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে বিজয় অর্জন করতে হবে।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. এস এম ওবায়দুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের ধানের শীষ প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রওনক জাহান রিনু, সাবেক ছাত্রদল নেতা কামারপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, বিএনপি নেতা শামসুল আলম, নজরুল ইসলাম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ স¤পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামানিক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিজওয়ান হোসেন পাপ্পু প্রমুখ।
অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আরো বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন বিএনপির অংশগ্রহণ একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে বিএনপিকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে। তিনি বলেন দলের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক, কোন লাভ হবে না। দলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থীকে বিজয় করার জন্য কাজ করতে হবে। অধ্যক্ষ দুলু বলেন, সৈয়দপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় অনেক নেতা সৈয়দপুরে আসবেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। তিনি আগামী ১৬ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রভাষক শওকত হায়াত শাহকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।