সাড়ে তিনশ বছরের বটগাছ, হতে পারে বিশ্বের প্রাচীন বটগাছ
https://www.obolokon24.com/2017/04/rangpur_78.html
পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভবনা
মামুনুররশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে বড়দরগাহ ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো একটি বটগাছ। এলাকাবাসীর মতে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বটগাছ। পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তরে বড় দরগাহ ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামের ওই বটগাছটি দূর থেকে সবুজ পাহাড়ের মতো মনে হয়। তার শীতল ছায়ায় দাঁড়ালে দেহমন জুড়িয়ে যায়।
প্রায় ১১০ ফুট উচ্চতার বটগাছটির বেড় প্রায় ৮০ ফুট। মূল গাছ থেকে অসংখ্য লতা ঝুলে নেমে মাটির সংস্পর্শে এসে জীবন্ত গাছে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা গাছটির বয়স প্রায় সাড়ে তিনশ বছর পেরিয়ে গেছে। গাছটিকে ঘিরে রয়েছে নানান ঘটনা। একসময় গাছটিকে পূজা দিতো হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বিভিন্ন পর্বে এই গাছের নিচে বসতো মেলা। আশপাশের পনের থেকে বিশটি গ্রামের সকল বয়সের দর্শনার্থীদের ভিড়ে সেই মেলা পরিণত হতো মানুষের মিলন মেলায়। এখনো এখানে বসে ছোট্ট বাজার। বটগাছের শীতল ছায়ায় নিজেকে জিরিয়ে নেয় মাঠের ক্লান্ত কৃষাণ, পথচারী। গ্রামের সকল বয়সের নারী-পুরুষ-শিশুদের জন্য বর্তমানে এটি বিশেষ আড্ডাস্থলও বটে, মূলত এটি বট-পাকড়ের যুগলবন্দী।
কথিত আছে, বিশেষ উদ্দেশে এখানে বট ও পাকড়ের বিয়ে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে যাকে ঘিরে প্রচলিত হয় নানা ‘মিথ’। ফলে আজও কেউ এই গাছের কোনো ডাল কাটে না। এমনকি পাতাও ছিড়ে না। জনৈক বৃদ্ধ দুলাল মুনশি জানান, ‘এই গাছের যাই ডাল কাটপি তার ওলা-ওঠা ব্যামো হবি। মুখদি অক্ত উটি মরি যাবি।’ অর্থাৎ- এই গাছের ডাল যে কাটবে, তার কলেরা রোগ হবে। মুখ দিয়ে রক্ত উঠে মারা যাবে সে।
এলাকাবাসীর দাবি, যথাযথ সংরক্ষণ করলে আরো শত শত বছর বাঁচতে পারে গাছটি। যা হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীতম বটগাছ। আর একে কেন্দ্র করে এই এলাতায় গড়ে উঠতে পারে বিশেষ পর্যটন কেন্দ্র।