পীরগঞ্জে ৫ শতাধিক বহিরাগতকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করলেন চেয়ারম্যান!
https://www.obolokon24.com/2017/04/rangpur_30.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নীতিমালা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫’শ ১৪ জন ব্যবসায়ীর নামে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে অভিযোগ উঠেছে। ট্রেড লাইসেন্সগুলো দিয়ে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব ক্ষতির শিকার হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (আরসিসি) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। ওই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রংপুরের বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কথিত ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে এবং আরসিসিতে সদস্য পদ লাভের জন্য এবারই সাড়ে ৩ হাজার ব্যবসায়ী আবেদন করেছে। যা অস্বাভাবিক এবং ৪৫ বছরের ইতিহাসে আরসিসিতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫’শ ১৪টি এবং বদরগঞ্জ উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের ১১১টি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আরসিসি’র পরিচালক ও সদস্যদের মাঝে সন্দেহ হলে কয়েকটি জরুরী সভা করে। এরপর ৮/৪/১৭ তারিখে আরসিসি আই ২৪১/২০১৭ স্মারক নম্বরে লাইসেন্সগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নে প্রেরন করা হলে গত ১৯ এপ্রিল, শাঃ/হাঃইউপি/পীর/রং-৮/১৭(১০১) স্মারক নম্বরে ৫১১টি লাইসেন্স বৈধ ঘোষণা করেছে ওই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ ইউনিয়নটিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার ব্যবসায়ীদের কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বাড়ী কিংবা জমি নেই। ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীদের টিআইএন (ট্যাক্স পেয়ারস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) নম্বর বিভিন্ন জেলা শহরের হলেও ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জের শারতী এলাকার মৃত. সামসুদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (মা-বাবা এন্টারপ্রাইজ ও জীত এক্সপ্রেস), লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নবীনগরের আব্দুল করিমের ছেলে আবু আলম সিদ্দিকী (সোর্স আর,এম ট্রেডিং) শানেরহাট ইউপি থেকে ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছে। সোহেল রানার টিআইএন নং- ১৪১১৯১১৮৫২৫৬, সার্কেল-১৩৬, কর অঞ্চল-৭, ঢাকা এবং আবু আলম সিদ্দিকীর টিআইএন নং- ৮৪১৯৩০৩৮৫৭৫৭, রংপুর কর অঞ্চলের সার্কেল- ১৫, লালমনিরহাট উল্লেখ রয়েছে। শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া ৫ শতাধিক ব্যবসায়ী কেউই স্থায়ী বাসিন্দা নন। এ ব্যাপারে শানেরহাট ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নে যদি কেউ ব্যবসা করতে আসে, তাহলে তো লাইসেন্স দিতেই হবে। তবে তিনি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, জমি, বাড়ী আছে কিনা তা তিনি বলেননি। অপরদিকে আরসিসির যাচাই-বাছাই চিঠি পাওয়ার পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া শতাধিক ট্রেড লাইসেন্স ওই ইউপির চেয়ারম্যান বাতিল করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন বা জেলা শহর থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া হলে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফিস লাগে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পায়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২’শ টাকা লাইসেন্স ফিস নেয়ায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। সুত্র জানায়, নিজেদের ভোট ব্যাংক বাড়াতে আরসিসি’র একটি পক্ষ নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে। আরও ওই প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে জানা গেছে।
পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নীতিমালা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৫’শ ১৪ জন ব্যবসায়ীর নামে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছে অভিযোগ উঠেছে। ট্রেড লাইসেন্সগুলো দিয়ে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব ক্ষতির শিকার হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (আরসিসি) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠানটি সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। ওই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রংপুরের বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কথিত ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে এবং আরসিসিতে সদস্য পদ লাভের জন্য এবারই সাড়ে ৩ হাজার ব্যবসায়ী আবেদন করেছে। যা অস্বাভাবিক এবং ৪৫ বছরের ইতিহাসে আরসিসিতে এমন ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৫’শ ১৪টি এবং বদরগঞ্জ উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের ১১১টি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে আরসিসি’র পরিচালক ও সদস্যদের মাঝে সন্দেহ হলে কয়েকটি জরুরী সভা করে। এরপর ৮/৪/১৭ তারিখে আরসিসি আই ২৪১/২০১৭ স্মারক নম্বরে লাইসেন্সগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পীরগঞ্জের শানেরহাট ইউনিয়নে প্রেরন করা হলে গত ১৯ এপ্রিল, শাঃ/হাঃইউপি/পীর/রং-৮/১৭(১০১) স্মারক নম্বরে ৫১১টি লাইসেন্স বৈধ ঘোষণা করেছে ওই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ ইউনিয়নটিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলার ব্যবসায়ীদের কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বাড়ী কিংবা জমি নেই। ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া ব্যবসায়ীদের টিআইএন (ট্যাক্স পেয়ারস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) নম্বর বিভিন্ন জেলা শহরের হলেও ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জের শারতী এলাকার মৃত. সামসুদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (মা-বাবা এন্টারপ্রাইজ ও জীত এক্সপ্রেস), লালমনিরহাটের পাটগ্রামের নবীনগরের আব্দুল করিমের ছেলে আবু আলম সিদ্দিকী (সোর্স আর,এম ট্রেডিং) শানেরহাট ইউপি থেকে ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছে। সোহেল রানার টিআইএন নং- ১৪১১৯১১৮৫২৫৬, সার্কেল-১৩৬, কর অঞ্চল-৭, ঢাকা এবং আবু আলম সিদ্দিকীর টিআইএন নং- ৮৪১৯৩০৩৮৫৭৫৭, রংপুর কর অঞ্চলের সার্কেল- ১৫, লালমনিরহাট উল্লেখ রয়েছে। শানেরহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া ৫ শতাধিক ব্যবসায়ী কেউই স্থায়ী বাসিন্দা নন। এ ব্যাপারে শানেরহাট ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন, আমার ইউনিয়নে যদি কেউ ব্যবসা করতে আসে, তাহলে তো লাইসেন্স দিতেই হবে। তবে তিনি ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, জমি, বাড়ী আছে কিনা তা তিনি বলেননি। অপরদিকে আরসিসির যাচাই-বাছাই চিঠি পাওয়ার পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া শতাধিক ট্রেড লাইসেন্স ওই ইউপির চেয়ারম্যান বাতিল করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশন বা জেলা শহর থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়া হলে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফিস লাগে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব পায়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২’শ টাকা লাইসেন্স ফিস নেয়ায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। সুত্র জানায়, নিজেদের ভোট ব্যাংক বাড়াতে আরসিসি’র একটি পক্ষ নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে। আরও ওই প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে জানা গেছে।