সমকালের ভুয়া খবরে পীরগঞ্জে যা হলো
https://www.obolokon24.com/2017/04/rangpur_22.html
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
গত ৫ এপ্রিল দৈনিক সমকাল পত্রিকার পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি এটিএম মাজহারুল আলম মিলনের পাঠানো “পীরগঞ্জে বিদ্যালয় মাঠে জুয়ার আসর” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে। ওই খবরটিতে থানা পুলিশের এক এএসআই এবং স্থানীয় সাংবাদিক মেরাজুলকে জড়িয়ে প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে সমকালের ওই সাংবাদিক ও সাংবাদিক মেরাজুলের মাঝে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় সাংবাদিক মিলন পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে কয়েকটি পত্রিকায় তাকে কোপানোর অভিযোগ এনে খবর প্রকাশ এবং সাংবাদিক মেরাজুলকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে পীরগঞ্জ থানায় তড়িঘড়ি করে একটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ও রংপুরের সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবি নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক মেরাজুলকে সন্ত্রাসী মামলায় আসামী করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। যা অনলাইন নিউজ পোর্টাল অবলোকনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই ঘটনাকে ন্দ্রে করে গত ১৯ এপ্রিল সাংবাদিক মিলন পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে তার লোকজন দিয়ে মানববন্ধন করে পুলিশকে প্রভাবিত করে সাংবাদিক মেরাজুলকে চাপের মুখে রেখেছে। ফলে সাংবাদিক মেরাজুল ওই মিথ্যা মামলার কারণে বর্তমানে বাড়ীঘর ছেড়েছেন।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল দৈনিক সমকালের উত্তরাঞ্চলের ৫ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়ের আমোদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে মাঠের মধ্যে ২৫-৩০টি জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ ও সাংবাদিক মেরাজুলকে জড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র বলেন, আমার বিদ্যালয়কে জড়িয়ে সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় একটি ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ প্রতিবছরের ন্যায় ২১ চৈত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী বুড়াল বারুনীর মেলাটি আমার বিদ্যালয় থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে হয়ে আসছে। এবারো আমোদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে মেলাটি বসানো হয়েছিল। মেলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখেছি। সমকালে প্রকাশিত ভুয়া খবরটির ব্যাপারে পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি স্যার এসে সরেজমিনে তদন্ত খবরটির সত্যতা পাননি। পাশাপাশি মেলার দিনে বিদ্যালয়টি বন্ধ ছিল না বলেও এলাকাবাসী ইউএনও ও ওসি স্যারকে স্বাক্ষী দিয়েছে। আমাকে ফাঁসিয়ে কিংবা আমাদের বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর প্রকাশ করে সাংবাদিকদের মাঝে যে শত্র“তা ছিল, তা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওসি রেজাউল করিম বলেন, মেলায় কোন জুয়ার আসর পাইনি। আমাদের সাথে ইউএনও স্যারও তদন্ত করতে গিয়েছিলেন।
বিশ্বস্ত সুত্রগুলো জানিয়েছে, সাংবাদিক মিলন পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মদ, জুয়ার আসর ও মাদক কারবারীদের কাছে পুলিশের সাথে দরকষাকষির ভিত্তিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা নিয়ে আসছে। সাংবাদিক মেরাজুল বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসরের ব্যাপারে পুলিশের কাছে আপত্তি তুললে সাংবাদিক মিলন ক্ষেপে যায়। একপর্যায়ে সাংবাদিক মেরাজুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। ফলে ওই ঘটনার পর দু’সাংবাদিকের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে এলাকাবাসী জানায়।