কিশোরগঞ্জে টেকসই নারী উন্নয়নে স্মার্টবাসে ডিজিটাল ক্লাশরুম
https://www.obolokon24.com/2017/04/kisargang_62.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে সে দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি আর এ জনশক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ হচ্ছে সে দেশের যুব সমাজ তাই এ যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মক্ষম করতে চোখ জুড়ানো স্মার্ট বাস এখন দেশের গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। এই বাসটি একটু অন্য রকম। যাকে ডিজিটাল ক্লাশ রুমে পরিনত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দিতে এটি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে বাসটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান করছে। সেখানে গত ২২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষনে সহায়তা করছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসটির মাধ্যমে বিনা খরচে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক লাখ ৬৬ হাজার উদীয়মান নারী হবেন যাত্রী। তারাই পাবেন তথ্য-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ। বিনা টিকেটে বাসের ভেতর পাওয়া যাবে তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানের ভান্ডার । বাসে উঠতে যেতে হবে না দূরে কোথাও। বরং বাসই গিয়ে দাঁড়াবে আপনার চিরচেনা গ্রামে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসে আসন তো আছেই, সঙ্গে আছে টেবিলও।
২০ আসনের সামনের প্রতিটি টেবিলেই আছে একটি করে ল্যাপটপ। তথ্য-প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও প্রশিক্ষণ আয়ত্তের সহজ পাঠ্যসূচি (মডিউল) দেওয়া আছে প্রতিটি ল্যাপটপে। ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দিতে পুরো বাসটিকেই করা হয়েছে ওয়াই-ফাই। রয়েছে এলইডি স্ক্রিন। বাসের এপাশ-ওপাশে জুড়ে সাউন্ড সিস্টেম। বাইরের শব্দে যাতে প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য বাসটি সাউন্ড প্রুফ করা হয়েছে।বিদ্যুতের জন্য আছে জেনারেটর। আরো আছে আধুনিক নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপকব্যবস্থা, মোশন ডিটেক্টর ও অ্যালার্মিং সিস্টেম ও জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা। অডিও ভিজ্যুয়াল সিস্টেমও আছে এই বাসে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগ এই বাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যা গ্রামীণ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের লক্ষে বাসগুলো চালু করা হয়। বাসগুলো সারাদেশে ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক জনগণকে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে শুরু করেছে। এখানে টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি হিসেবে এই বাস চালু করা হয়েছে।
চলতি মাস ২ এপ্রিল/২০১৭ নীলফামারীর কিশোগঞ্জে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টেকাব প্রকল্পের আওতায় মাসব্যাপি ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষন ভ্যানে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের উদ্ধোধন করেন। উক্ত উদ্ধোধনী অনুষ্টানে নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরচিালক মোঃ আব্দুল ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান, সহকারী পরিচালক ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব)আলিয়ার রেজা প্রমুখ।
বাসের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, এ যেন একটি একটি ডিজিটাল ক্লাসরুম। আর ক্লাসরুমের পাঠ ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে তথ্য-প্রযুক্তির পথঘাট স¤পর্কে ধারণা অবধারিত। এখানে পাওয়া যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির প্রাথমিক প্রশিক্ষণ। আর প্রাথমিক পাঠ্যসূচি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে এটি শেষ করতে পারলে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি নামের প্রকল্পের আওতায় এ স্মার্ট বাসের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করাই প্রধান উদ্দেশ্য। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির মেয়াদ তিন বছর। কার্যক্রম চলবে বছরে ৪০ সপ্তাহ। এতে মোট এক লাখ ৬৬ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় যাবে এই বাস, যাবে একদম গ্রামগঞ্জে। স্থানীয় প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই এলাকার তরুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি সচেতনতা বাড়াতে বাসগুলো নিয়ে রোড শো করা হবে। সুত্র মতে ভিশন-২০২১ সামনে রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের অংশগ্রহণও জরুরি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ফারুক জানান,গত বছর সৈয়দপুর উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় মাসব্যাপি প্রশিক্ষন নিয়ে প্রত্যান্ত এলাকার যুবক ও যুব মহিলারা কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে।
দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে সে দেশের কর্মক্ষম জনশক্তি আর এ জনশক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অংশ হচ্ছে সে দেশের যুব সমাজ তাই এ যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মক্ষম করতে চোখ জুড়ানো স্মার্ট বাস এখন দেশের গ্রামে গ্রামে ঘুরছে। এই বাসটি একটু অন্য রকম। যাকে ডিজিটাল ক্লাশ রুমে পরিনত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দিতে এটি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে বাসটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান করছে। সেখানে গত ২২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষনে সহায়তা করছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসটির মাধ্যমে বিনা খরচে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক লাখ ৬৬ হাজার উদীয়মান নারী হবেন যাত্রী। তারাই পাবেন তথ্য-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ। বিনা টিকেটে বাসের ভেতর পাওয়া যাবে তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানের ভান্ডার । বাসে উঠতে যেতে হবে না দূরে কোথাও। বরং বাসই গিয়ে দাঁড়াবে আপনার চিরচেনা গ্রামে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাসে আসন তো আছেই, সঙ্গে আছে টেবিলও।
২০ আসনের সামনের প্রতিটি টেবিলেই আছে একটি করে ল্যাপটপ। তথ্য-প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সফটওয়্যার ও প্রশিক্ষণ আয়ত্তের সহজ পাঠ্যসূচি (মডিউল) দেওয়া আছে প্রতিটি ল্যাপটপে। ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা দিতে পুরো বাসটিকেই করা হয়েছে ওয়াই-ফাই। রয়েছে এলইডি স্ক্রিন। বাসের এপাশ-ওপাশে জুড়ে সাউন্ড সিস্টেম। বাইরের শব্দে যাতে প্রশিক্ষণে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্য বাসটি সাউন্ড প্রুফ করা হয়েছে।বিদ্যুতের জন্য আছে জেনারেটর। আরো আছে আধুনিক নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপকব্যবস্থা, মোশন ডিটেক্টর ও অ্যালার্মিং সিস্টেম ও জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা। অডিও ভিজ্যুয়াল সিস্টেমও আছে এই বাসে।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগ এই বাসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যা গ্রামীণ পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার এবং ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের লক্ষে বাসগুলো চালু করা হয়। বাসগুলো সারাদেশে ঘুরে ঘুরে প্রান্তিক জনগণকে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করতে শুরু করেছে। এখানে টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি হিসেবে এই বাস চালু করা হয়েছে।
চলতি মাস ২ এপ্রিল/২০১৭ নীলফামারীর কিশোগঞ্জে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টেকাব প্রকল্পের আওতায় মাসব্যাপি ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষন ভ্যানে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের উদ্ধোধন করেন। উক্ত উদ্ধোধনী অনুষ্টানে নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরচিালক মোঃ আব্দুল ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান, সহকারী পরিচালক ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব)আলিয়ার রেজা প্রমুখ।
বাসের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, এ যেন একটি একটি ডিজিটাল ক্লাসরুম। আর ক্লাসরুমের পাঠ ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে তথ্য-প্রযুক্তির পথঘাট স¤পর্কে ধারণা অবধারিত। এখানে পাওয়া যাচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির প্রাথমিক প্রশিক্ষণ। আর প্রাথমিক পাঠ্যসূচি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে এটি শেষ করতে পারলে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনযাপন সহজ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি নামের প্রকল্পের আওতায় এ স্মার্ট বাসের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করাই প্রধান উদ্দেশ্য। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির মেয়াদ তিন বছর। কার্যক্রম চলবে বছরে ৪০ সপ্তাহ। এতে মোট এক লাখ ৬৬ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় যাবে এই বাস, যাবে একদম গ্রামগঞ্জে। স্থানীয় প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই এলাকার তরুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি সচেতনতা বাড়াতে বাসগুলো নিয়ে রোড শো করা হবে। সুত্র মতে ভিশন-২০২১ সামনে রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের অংশগ্রহণও জরুরি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল ফারুক জানান,গত বছর সৈয়দপুর উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় মাসব্যাপি প্রশিক্ষন নিয়ে প্রত্যান্ত এলাকার যুবক ও যুব মহিলারা কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে।