কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে অবাধে চলছে নকল সুবিধা

ছাত্রী শিক্ষকসহ বহিস্কার ৩. ভ্রামামান আদালতে দুই শিক্ষকের জরিমানা, একজন ভুয়া শিক্ষকের নামে থানায় ডায়েরী

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কেশবা ফাজিল মাদ্রাসায় ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আলিম পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে গত ৬ দিনের পরীক্ষায়  ব্লাক বোর্ডে লিখে দেয়া, ভুয়া শিক্ষক দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া,  অসদউপায় অবলম্বন ও অবাধে নকল করার  সুবিধা করে দেয়ার দায়ে দুই শিক্ষককে জরিমানা, দুই ছাত্রীকে বহিস্কার, একজন ভুয়া শিক্ষকের নামে থানায় সাধারন ডায়েরি, ও একজন হল সুপারকে বহিস্কার করেছে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা(ভুমি)উত্তম কুমার রায়। ফলে এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের  কেন্দ্র সচিব জানায়, চলতি মাসের ২ এপ্রিল থেকে সাড়াদেশের মতো কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রসা কেন্দ্রে, পানিয়াল পুকুর মাহাতাবিয়া আলিম মাদ্রাসা, কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসা,মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসা, বড়ভিটা পিপি হোসাইনিয়া মাদ্রাসা,বড়ভিটা এ ইউ দাখিল মাদ্রাসা ও রণচন্ডি অবিলের বাজার আলিম মাদ্রাসার ৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী পরীক্ষার্থীরা জানায়, মাদ্রাসায় ভালভাবে পড়াশোনা না হওয়ার কারনে অনেকেই পরীক্ষায় ফেল করে । কিন্তু সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী নিদিষ্ট ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে শিক্ষকদের বিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই মাদ্রাসা সুপাররা ছাত্রছাত্রীদের পাশ করার জন্য বহিরাগত শিক্ষকদের কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র দেয়ার সময় ৬০০ করে টাকা নিয়েছে। আর এ জন্য গত ৮/৪/১৭ ইং ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষায় মাহাতাবিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রের ১ নম্বর কক্ষে ফরিদুল ইসলাম নামে এক ভুয়া শিক্ষককে প্রত্যবেক্ষকের ( কক্ষ পরিদর্শক) দায়িত্ব দেওয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসানকে জানালে তিনি সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পায়। কিন্তু ততক্ষনে ওই ভুয়া শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রসার প্রভাষক ও হল সুপার জয়নাল হোসেন, ভুয়া শিক্ষককে পালাতে সাহায্য করায় হল সুপার জয়নালকে  বহিস্কার করে ওই ভুয়া শিক্ষকের নামে কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাকে থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান। কিন্তু কেন্দ্র সচিব থানায় মামলা না করে ওই ভুয়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। থানার ডায়েরী নম্বর ৩৯৪। একই দিনে অসদউপায় অবলম্বনের দায়ে মোছলেমিনা নামে এক পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয় যার রোল নম্বর-১৩৪৬৯৩। এদিকে গত ১০/৪/১৭ ইং তারিখ ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় ব্লাক র্বোডে উত্তর লিখে দেন বড়ভিটা এ ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম ও মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) সাইদুল হক। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভুমি) উত্তম কমার কেন্দ্রে গিয়ে তাদের না পেয়ে ওই কক্ষের প্রত্যবেক্ষক (কক্ষ পরিদর্শক)  কিশোরগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও বড়ভিটা এ ইউ ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা জড়িমানা ও অনাদায়ে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।  এছাড়াও মঙ্গলবার কেফা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় টেবিলের উপর বই ফেলে লেখার সময় মমতা আক্তার (রোল-১৩৪৭২১)নামে এক ছাত্রীকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসানের সাথে কথা বললে তিনি এসব বিষয় স্বীকার করেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 3574120585752600451

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item