ইবির ইস: ইতিহাস বিভাগের নবীন-প্রবীন মিলনমেলায় মুখরিত ক্যাম্পাস
https://www.obolokon24.com/2017/04/islamic-university_30.html
হুমায়ুন কবীর জীবন,ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রজত জয়ন্তী ও এ্যালামনাই পুর্নমিলণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানে বিভাগের নবীন ও প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ইবি ক্যাম্পাস।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১ম দিন শুক্রবার নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল ১১টায় অনুষদ ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় মিলত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ইতিহাসের অন্যতম একটি বিভাগ। এই বিভাগের রয়েছে অনেক গৌরবময় ভূমিকা যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে দেশ ও দেশের বাইরে বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা, প্রশাসনিক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে গৌরবের স্বাক্ষর রেখেছে, ফলে দেশ ও দেশের বাইরে বর্হিবিশ্ব থেকে এর সুনাম বয়ে এনেছে। জঙ্গীবাদকে উদ্দেশ্য করে ভিসি বলেন, আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন ও ইসলামের অপব্যাখা দিয়ে কিছু ধর্মব্যবসায়ী লোক যুবসমাজের মাঝে সন্ত্রাস,মাদক ও জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইসলামের মূল ইতিহাস ব্যাখ্যার জন্য এ বিভাগকে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। ভিসি বলেন, এ বিভাগে নতুন বিষয় সংযুক্তির মাধ্যমে হলেও এ অপতৎপরতাকে রুখে দিতে হবে। দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত সমাবর্তনের বিষয়ে ড. আসকারী বলেন, খুব কম সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষিত সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্ম দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এ বিভাগের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে দৃঢ়পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।”
অপর বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. সেলিম তোহা বলেন “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়োজনে এমনি একটি চমৎকার অনুষ্ঠান হচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি বলেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি অনেক বড় ও হয়েছে অনেক বিভাগ হয়েছে। আগে বিভাগ ছিল হাতে গোনা কয়েকটি, তার মধ্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ছিল অন্যতম। তিনি আরো বলেন এ্যালামনাই হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি সেতুবন্ধন যে বন্ধনটি চির অটুট।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান। বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. গৌতম কুমার দাস, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরিন, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান, আইআইইআর এর পরিচালাক প্রফেসর ড. মেহের আলী প্রমুখ।
আলোচনাসভা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।