৬ দফা দাবী বাস্তবায়নে বড়পুকুরিয়া খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের মানব বন্ধন ॥
https://www.obolokon24.com/2017/04/dinajpur_29.html
মোঃ মেহেদি হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি গ্রামের মানুষদের নিয়ে ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্দোগে কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈগ্রাম বাজারে এক বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বড়পুকুরিয়া কতৃপক্ষ গত ৩বছর আগে আমাদের এই এলাকার প্রায় সাড়ে ৬ শত একর জমি অধিগ্রহন করেন।
চলতি বছর মার্চ মাস থেকে ভয়াবহ ভাবে ঘরবাড়ি,ফসলী জমি, স্কুল কলেজ, মসজিদ,মন্দীর,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলিতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এলাকার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুকির মধ্যে বসবাস করছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির পরিবার থেকে যারা শিক্ষিত রয়েছে তাদের শ্রেনীভেদে চাকরী দেয়ার কথা ছিলো।
কিন্তু তাদেরকে চাকরী দেয়া হয়নি। তাই আমরা ১০টি গ্রামের মানুষ অধিকার আদায়ে একত্রিত হয়ে আজ এই মানব বন্ধন করছি । আমরা কোথায় দাঁড়াব এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছি।
বড়পুকুরিয়া খনি কতৃপক্ষ তাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এবং তাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। আমরা কতৃপক্ষকে অনেক বার বুঝাবার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের দাবীর কথা জানিয়েছি।
কিন্ত তারা কি করতে চায় তা সুস্পষ্ট নয়।। ক্ষতিগ্রস্তদের ৬দফা দাবী বাস্তবায়নে সরকার ও খনি কতৃপক্ষ যদি গুরত্ব না দেয় তাহলে আগামি ২৫ মে মধ্যে দাবী পুরন না হলে তারা এলাকায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো বলে জানান।
মানব বন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মো. সোলায়মান সামি, যুগ্ন আহবায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত মো. গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব আলহাজ¦ আবু সাঈদ, সংগঠনের অন্যতম সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, কার্যকারী সদস্য মুক্তি যোদ্ধা মো. মোকলেছুর রহমান, শ্রমিক নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম (রতন), কোষাধ্যক্ষ মো. সাকোয়াত হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম,মো. আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু,ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোছা. নুরবানু ও শিউলী আক্তার। সকাল ১০টা থেকে খনি এলাকার ১০টি গ্রামের নারী,পুরুষ,স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, খেটেখাওয়া মানুষ, দিন মজুর, কুলি,শ্রমিকগন সহ প্রায়২ হাজার মানুষ মানব বন্ধনে অংশ নেন।
এ ব্যপারে গতকাল শনিবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলহাজ¦ মো. হাবিব উদ্দিন এর সাথে এ বিষয়ে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকায় রাস্তা নির্মানের টেন্ডার ইতি মধ্যে দেয়া হয়েছে, এলাকায় যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নির্নয়ের জন্য উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন হয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরন দেয়া বিষয়টি বোর্ডে পাশ হয়েছে। আমি সবে মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি এর মধ্যে সব কাজ করতে হচ্ছে । আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আন্দোলন কারী নেতৃবৃন্দদেরকে বলেছি আপনারা শান্ত থাকেন অনেক লাভবান হবেন।