গঙ্গাচড়া মহিপুরের দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর তৃতীয় দফা সময় বৃদ্ধি
https://www.obolokon24.com/2017/02/rangpur_50.html
সফিয়ার রহমান কাজল, গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
তিস্তা নদীর
ওপর নির্মাণাধীন তিস্তা সড়ক সেতুর সময় আবারো ৪ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ
নিয়ে তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হল। এ পর্যন্ত সেতুর ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে
বলে জানিয়েছে সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নাভানা কন্সট্রাকশন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী বৈঠকে
(একনেক) তিস্তা দ্বিতীয় সড়ক সেতুর নির্মাণে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে
বৃহত্তর রংপুর দিনাজপুর গ্রামীণ যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়
১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর ও লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার
কাকিনা রুটে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২ বছর ৪ মাস
মেয়াদে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা
কনস্ট্রাকশন। কিন্তু যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়
এক বছর। যা ছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপরও কাজ শেষ না হওয়া তৃতীয়
দফায় আবারো ৪ মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা শেষ হবে আগামী ৩১ এপ্রিল।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানান, সেতু ডিজাইনে স্পান রয়েছে মোট ১৭টি।
এরমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ১৪টি। বাকী রয়েছে ৩টি স্পানের কাজ। একটি
স্পানের গার্ডার তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় ১ মাস। সে হিসেবে সময় লাগবে আরও ৩
মাস। এছাড়াও রয়েছে নদী শাসনের কাজ। গত বছর দু’দফায় দুটি গার্ডার ভেঙে পড়ায়
নির্মাণ কাজ বিঘ্নিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বলেন, সময়
বাড়ানোর পরও কাজ শেষ না হওয়ায় বিষয়টি দুঃখজনক এবং কাজের গতিও কম। সেতু
নির্মাণ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কালীগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ
বলেন, নির্দিষ্ট সময় কাজ শেষ না হওয়ায় তৃতীয় দফায় আবারো চার মাস বৃদ্ধি করা
হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বর্ধিত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
উল্লেখ্য ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও সাড়ে ৯ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ঠ সেতুটি
নির্মাণ হলে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও আদিতমারী
উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের অল্প সময়ে রংপুর তথা দেশের যে কোন জেলায়
যাতায়াতসহ কৃষি ও ব্যবসা-বানিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পরিবর্তন হবে
মানুষের জীবনমান।