পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীতে মৃত ব্যক্তির নাম সহ ব্যাপক ঘাপলা!
https://www.obolokon24.com/2016/12/pirgang-rangpur.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর (১০ টাকার চাল) তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মসুচীর ডিলাররাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় ১ ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করে পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তালিকায় অনিয়মের দায় থেকে বাঁচতে ইউপি চেয়ারম্যান কার্ডগুলো ফেরতের জন্য মাইকিং করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচিত উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ। তার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর মাধ্যমে ১ হাজার ৫’শ হতদরিদ্রের মাঝে ১০ টাকায় কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রমের তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। ওই তালিকায় দেখা যায়, মৃত ব্যক্তি, স্বচ্ছল পরিবার, একই পরিবারের একাধিক সদস্য, একই ব্যক্তির নাম ২/৩ বার অন্তর্ভুক্ত এমনকি এলাকায় লোক নেই তবুও নাম তালিকাভুক্ত করে চাল আত্মসাত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নটির ৩নং ওয়ার্ডের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম ভাদুরাঘাটে মুসলমান নেই বললেই চলে। তারপরও গ্রামটির ২৩ জনের নাম তালিকাভুক্ত করে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। ভাদুরাঘাটের কার্ডের নম্বর না দিয়ে ক্রমিক নং দেয়া হয়েছে। ৪৭১ থেকে ৪৯৩ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের ওই চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করা হচ্ছে। অপরদিকে মৃত. ব্যক্তি আকবর আলী (কার্ড নং-১৩৪), একাধিকবার একই ব্যক্তি সেফালী বেগম (৩৭, ২৮৩, ৩২১), নানদৌয়া (২৪, ৩২), মারজিয়া (১১৯০, ১১৯৯), গোলাপজান (১৪৪৯, ১৪৯০), সাজু মিয়া (৯৮৭, ৯৮৮), নওয়াব আলী (১৩১০. ১৩৪১), মারফিয়া (৪, ১৭৮), বাড়ীতেই থাকেন না তারিকুল ইসলাম (১০২), হাজেরা (১৪৩); স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য লায়জু (৬৭), আনিছার (১২২), লোকই নেই, তারপরও নজমাল (১১৩), গোমেছ (২০৫), এলারুস (২০০), পন্ডিত (২৪৪), সাজ্জাদুর (১২৭), জাহিদুল (১৩০), জোসনা (২), মুকুল (৬১), নিল (৬২) কে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ একাধিক সদস্যকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেমন আজিজার রহমান (৪১৫), গোলাপজান (৪৭০), রবিউল (৪২০), আহসান হাবিব (৪২৩), কার্ড নং- ৪০৩, ৪৭৫, ১, ১৩৮, ১২৫০, ১২৫১, ১১১, ১০৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৩৬৪, ১৩৬৬, ৩০২, ৩১২, ৩২৭, ৩৩৩, ৩৪০, ৩৪১, ৩৪৪, ৩৪৫, ১৬২, ১৬৭, ১৩৭৬, ১৩৭৭ সহ আরও অনেক নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলা ও উপজেলা খাদ্য বিভাগ লিখিত অভিযোগের তদন্তে এসে ইউনিয়নটির তালিকায় ব্যাপক গড়মিল পায় বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম জানান। তিনি আরও জানান, চৈত্রকোল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ওই কর্মসুচীতে অনিয়ম করায় ওয়াহাব মিয়া নামের এক ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ মোবাইল ফোনে বলেন, মেম্বাররা তালিকা তৈরী করেছে। অনিয়ম হলে তারাই দায়ী, আমি নই। যে সব কার্ড অনিয়ম, দুর্নীীত ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে, সেগুলো ইউনিয়ন পরিষদে ফেরত দেয়ার জন্য গত বুধবার মাইকিং করেছি। তিনি আরও বলেন, ভাদুরাঘাটের ২৩ জনের কার্ডের চাল উত্তোলন করে বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শহিদুল্লাহ বলেন, ইউনিয়নটিতে কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ওই কর্মসুচীর চাল উদ্ধার করে মামলা করা হয়েছে।
পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর (১০ টাকার চাল) তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মসুচীর ডিলাররাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় ১ ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করে পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তালিকায় অনিয়মের দায় থেকে বাঁচতে ইউপি চেয়ারম্যান কার্ডগুলো ফেরতের জন্য মাইকিং করছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচিত উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ। তার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর মাধ্যমে ১ হাজার ৫’শ হতদরিদ্রের মাঝে ১০ টাকায় কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রমের তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। ওই তালিকায় দেখা যায়, মৃত ব্যক্তি, স্বচ্ছল পরিবার, একই পরিবারের একাধিক সদস্য, একই ব্যক্তির নাম ২/৩ বার অন্তর্ভুক্ত এমনকি এলাকায় লোক নেই তবুও নাম তালিকাভুক্ত করে চাল আত্মসাত করা হচ্ছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নটির ৩নং ওয়ার্ডের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম ভাদুরাঘাটে মুসলমান নেই বললেই চলে। তারপরও গ্রামটির ২৩ জনের নাম তালিকাভুক্ত করে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। ভাদুরাঘাটের কার্ডের নম্বর না দিয়ে ক্রমিক নং দেয়া হয়েছে। ৪৭১ থেকে ৪৯৩ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের ওই চাল উত্তোলন করে আত্মসাত করা হচ্ছে। অপরদিকে মৃত. ব্যক্তি আকবর আলী (কার্ড নং-১৩৪), একাধিকবার একই ব্যক্তি সেফালী বেগম (৩৭, ২৮৩, ৩২১), নানদৌয়া (২৪, ৩২), মারজিয়া (১১৯০, ১১৯৯), গোলাপজান (১৪৪৯, ১৪৯০), সাজু মিয়া (৯৮৭, ৯৮৮), নওয়াব আলী (১৩১০. ১৩৪১), মারফিয়া (৪, ১৭৮), বাড়ীতেই থাকেন না তারিকুল ইসলাম (১০২), হাজেরা (১৪৩); স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য লায়জু (৬৭), আনিছার (১২২), লোকই নেই, তারপরও নজমাল (১১৩), গোমেছ (২০৫), এলারুস (২০০), পন্ডিত (২৪৪), সাজ্জাদুর (১২৭), জাহিদুল (১৩০), জোসনা (২), মুকুল (৬১), নিল (৬২) কে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ একাধিক সদস্যকেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেমন আজিজার রহমান (৪১৫), গোলাপজান (৪৭০), রবিউল (৪২০), আহসান হাবিব (৪২৩), কার্ড নং- ৪০৩, ৪৭৫, ১, ১৩৮, ১২৫০, ১২৫১, ১১১, ১০৭, ১৫৪, ১৫৫, ১৩৬৪, ১৩৬৬, ৩০২, ৩১২, ৩২৭, ৩৩৩, ৩৪০, ৩৪১, ৩৪৪, ৩৪৫, ১৬২, ১৬৭, ১৩৭৬, ১৩৭৭ সহ আরও অনেক নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলা ও উপজেলা খাদ্য বিভাগ লিখিত অভিযোগের তদন্তে এসে ইউনিয়নটির তালিকায় ব্যাপক গড়মিল পায় বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম জানান। তিনি আরও জানান, চৈত্রকোল ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ওই কর্মসুচীতে অনিয়ম করায় ওয়াহাব মিয়া নামের এক ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ মোবাইল ফোনে বলেন, মেম্বাররা তালিকা তৈরী করেছে। অনিয়ম হলে তারাই দায়ী, আমি নই। যে সব কার্ড অনিয়ম, দুর্নীীত ও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে, সেগুলো ইউনিয়ন পরিষদে ফেরত দেয়ার জন্য গত বুধবার মাইকিং করেছি। তিনি আরও বলেন, ভাদুরাঘাটের ২৩ জনের কার্ডের চাল উত্তোলন করে বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শহিদুল্লাহ বলেন, ইউনিয়নটিতে কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ওই কর্মসুচীর চাল উদ্ধার করে মামলা করা হয়েছে।