জেলা পরিষদ নির্বাচন॥পরাজিত প্রার্থীদের হাতে ইউপি সদস্যরা লাঞ্চিত হচ্ছে
https://www.obolokon24.com/2016/12/dimla_65.html
বিশেষ প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর॥
জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত দুই সাধারন সদস্য প্রার্থীর কপানোলে পড়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা একের পর এক লাঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে ইউপি সদস্যরা নিরাপক্তাহীনতায় ভুগছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে পরাজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ছিল ৫ জন। এরা হলো মোজ্জম্মেল হক (তালা), মোজাফ্ফর হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), এ,টি,এম নুর হোসেন(হাতী), সেলিম সরকার (অটোরিক্সা) ও রফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ভোট কেন্দ্র ছিল ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫২ জন। এসব প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন সেলিম সরকার (অটোরিক্সা)।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে পরাজিত ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের প্রার্থী তালা প্রতিকের মোজ্জাম্মেল হকের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে ইউপি সদস্যদের খুঁজতে থাকে। ফলে ইউপি সদস্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আতœগোপনে রয়েছে। মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের অভিযোগ ইউপি সদস্যরা ১৫ হাজার করে টাকা নেয়ার পরেও তালা প্রতিকে ভোট দেয়নি। ঝুনাগাছ ইউনিয়নে ইউপি সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এমন আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আগামী ৪ জানুয়ারী আরেক দফায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
অপর দিকে, একই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মোজাফ্ফর হোসেনের (বৈদ্যুতিক পাখা) সমর্থকরা একই দিন রাতে নাউতারা ইউনিয়নের ৬ জন ইউপি সদস্যকে আটক করে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নাউতারা বাজারে নাউতারা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম ও মুছা মিয়াকে চর লাথি মারা হয়। এরপর ওই ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, লুৎফর রহমান ও মোবারক হোসেনকে একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। গভীর রাতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা ছাড়া পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে জানায়, তারা এখন জীবন মরনের হুমকীর মুখে পড়ে আতœগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।#
জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত দুই সাধারন সদস্য প্রার্থীর কপানোলে পড়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা একের পর এক লাঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে ইউপি সদস্যরা নিরাপক্তাহীনতায় ভুগছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে পরাজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলার প্রার্থী ছিল ৫ জন। এরা হলো মোজ্জম্মেল হক (তালা), মোজাফ্ফর হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), এ,টি,এম নুর হোসেন(হাতী), সেলিম সরকার (অটোরিক্সা) ও রফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ভোট কেন্দ্র ছিল ডালিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫২ জন। এসব প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন সেলিম সরকার (অটোরিক্সা)।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে পরাজিত ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের প্রার্থী তালা প্রতিকের মোজ্জাম্মেল হকের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে ইউপি সদস্যদের খুঁজতে থাকে। ফলে ইউপি সদস্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আতœগোপনে রয়েছে। মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের অভিযোগ ইউপি সদস্যরা ১৫ হাজার করে টাকা নেয়ার পরেও তালা প্রতিকে ভোট দেয়নি। ঝুনাগাছ ইউনিয়নে ইউপি সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এমন আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আগামী ৪ জানুয়ারী আরেক দফায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
অপর দিকে, একই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী মোজাফ্ফর হোসেনের (বৈদ্যুতিক পাখা) সমর্থকরা একই দিন রাতে নাউতারা ইউনিয়নের ৬ জন ইউপি সদস্যকে আটক করে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নাউতারা বাজারে নাউতারা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম ও মুছা মিয়াকে চর লাথি মারা হয়। এরপর ওই ইউনিয়নের ৪,৫,৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, লুৎফর রহমান ও মোবারক হোসেনকে একটি ঘরে আটক করে রাখা হয়। গভীর রাতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা ছাড়া পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে জানায়, তারা এখন জীবন মরনের হুমকীর মুখে পড়ে আতœগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।#