সৈয়দপুরে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেওয়ায় বাবার ১৫ দিনের সাজা
https://www.obolokon24.com/2016/11/saidpur_30.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
সৈয়দপুরে এক মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণীর পড়–য়া মেয়েকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ের দেওয়ার দায়ে তাঁর বাবা নবিউল ইসলাম কালাকে (৪৫) ভ্রাম্যমান আদালতে ১৫ দিনে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ওই দন্ডাদেশ দেন। পরে তাকে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী আলোকদিপাড়া গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী নবিউল ইসলাম কালার মেয়ে (১২)। সে একই ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম এন্ড ভোকেশনাল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাতে পার্শ্ববর্তী রংপুরের তারাগঞ্জের রাজমিস্ত্রী লুৎফর রহমানের সাথে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়। তাঁর বাল্য বিয়ের আয়োজনের কথা জানতে পেরে ওই ছাত্রী তাৎক্ষণিক বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানায়। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আফজাল বিন নাজির সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি সৈয়দপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অবগত করেন। পরে ইউএনও নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু ওই দিন গভীর রাতে ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই মেয়েকে পাশের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয় তাঁর বাবা। পরদিন গতকাল ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে প্রথমে ঘটনাটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরে তাঁর সহপাঠীদের বাল্যবিয়ে দেয়ার ঘটনাটি খুলে বলে। পরবর্তীতে ওই বাল্যবিয়ের ঘটনার প্রতিবাদে বাল্য শিকার ছাত্রীসহ তাঁর মাদরাসার সহপাঠীরা ওই দিনই ( বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে ঘেরাও করে ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি দেয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ওই ছাত্রীর বাবাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির আশ্বাস দিলে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ফিরে যায়। এরপর ইউএনও ওই ছাত্রীর বাবাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সৈয়দপুর থানা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, ওই ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী মাদ্রাসার সুপারের আশ্রয়ে রয়েছে। আর এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ায় অভিযুক্ত বাবা মুরগি ব্যবসায়ী নবিউল ইসলাম কালা গাঢাকা দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে সচেষ্ট থাকে। গতকাল (বুধবার) সে তাঁর বাড়ির পাশের চিকলীবাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর ভিত্তিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে জোরপূর্বক বাল্য বিয়ের দেওয়ার দায়ে নবিউল ইসলাম কালাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
সৈয়দপুরে এক মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণীর পড়–য়া মেয়েকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ের দেওয়ার দায়ে তাঁর বাবা নবিউল ইসলাম কালাকে (৪৫) ভ্রাম্যমান আদালতে ১৫ দিনে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ওই দন্ডাদেশ দেন। পরে তাকে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী আলোকদিপাড়া গ্রামের মুরগী ব্যবসায়ী নবিউল ইসলাম কালার মেয়ে (১২)। সে একই ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম এন্ড ভোকেশনাল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাতে পার্শ্ববর্তী রংপুরের তারাগঞ্জের রাজমিস্ত্রী লুৎফর রহমানের সাথে তাঁর বিয়ে ঠিক করা হয়। তাঁর বাল্য বিয়ের আয়োজনের কথা জানতে পেরে ওই ছাত্রী তাৎক্ষণিক বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানায়। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আফজাল বিন নাজির সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি সৈয়দপুর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অবগত করেন। পরে ইউএনও নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। কিন্তু ওই দিন গভীর রাতে ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই মেয়েকে পাশের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয় তাঁর বাবা। পরদিন গতকাল ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মাদ্রাসায় এসে প্রথমে ঘটনাটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পরে তাঁর সহপাঠীদের বাল্যবিয়ে দেয়ার ঘটনাটি খুলে বলে। পরবর্তীতে ওই বাল্যবিয়ের ঘটনার প্রতিবাদে বাল্য শিকার ছাত্রীসহ তাঁর মাদরাসার সহপাঠীরা ওই দিনই ( বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে ঘেরাও করে ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি দেয়। এ সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গী ওই ছাত্রীর বাবাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির আশ্বাস দিলে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ফিরে যায়। এরপর ইউএনও ওই ছাত্রীর বাবাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সৈয়দপুর থানা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, ওই ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী মাদ্রাসার সুপারের আশ্রয়ে রয়েছে। আর এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ায় অভিযুক্ত বাবা মুরগি ব্যবসায়ী নবিউল ইসলাম কালা গাঢাকা দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে সচেষ্ট থাকে। গতকাল (বুধবার) সে তাঁর বাড়ির পাশের চিকলীবাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর ভিত্তিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে জোরপূর্বক বাল্য বিয়ের দেওয়ার দায়ে নবিউল ইসলাম কালাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।