উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচিতে পীরগঞ্জে স্বচ্ছলরাই দরিদ্র!
https://www.obolokon24.com/2016/11/rangpur_538.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ
উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন কর্মসুচী’র (উদকনিক) ২য় পর্যায়ে পীরগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে স্বচ্ছলদের তালিকাভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেয়ায় ওই কর্মসুচীর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত দরিদ্ররা। তালিকা তৈরীর সময় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং প্রকল্পটির প্রোডাকশন ম্যানেজার যৌথভাবে ওই দুর্নীতি করেছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত ছাড়াও টাকা নিয়ে বহিরাগতদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীনে ওই কর্মসুচী চলছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন কর্মসুচী’র প্রকল্পের আওতায় গত বছরের জানুয়ারীতে পীরগঞ্জের বড়দরগা, বড় আলমপুর ও রায়পুর ইউনিয়নে জরিপের মাধ্যমে দরিদ্রদের নাম বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত করে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ওই ৩ ইউনিয়নের মোট ৯২০ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়। অর্থের বিনিময়ে তালিকায় স্বচ্ছলদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই প্রকল্পের অধীনে সেলাই/টেইলারিং, নকশী কাঁথা-নকশী টুপি-জাঙ্গিয়া, মোবাইল সার্ভিসিং এবং গ্রামীন ইলেকট্রিশিয়ান এই ৪ ট্রেডে ১২ জন করে প্রতি ব্যাচে ৪৮ জনকে ৬০ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে প্রশিক্ষণ শেষে মোট ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন ভাতা না দিয়ে প্রকল্পটির প্রোডাকশন ম্যানেজার প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডের উপকরণ সরবরাহ দিয়ে টাকা কর্তন করে টাকা প্রদান করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নাম তালিকার সময় কিংবা প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সময় প্রতিজনের কাছে বিআরডিবি কর্মকর্তা ও প্রোডাকশন ম্যানেজার ৩ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। এ জন্য স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য উপজেলার বেলবাড়ী গ্রামের জাহিরুল ইসলামের স্ত্রী প্রশিক্ষণার্থী আরজিনা বেগমের মাধ্যমে কয়েকজনের কাছ থেকে ওই উৎকোচ আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরজিনার নামে যাত্রীবাহী লেগুনা পরিবহন থাকলেও সে দরিদ্র হিসেবে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এ ছাড়াও প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের প্রশিক্ষণে স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য নিয়ামতপুরের চাকরীজীবি রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম ও শাহাজাহান আলীর স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেগম, দাড়িকাপাড়ার ইলিয়াছ মিয়ার স্ত্রী এমিলি বেগম, রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও দাড়িকাপাড়ার আরিফুল ইসলাম, শ্যামদাসেরপাড়ার ছামিনা বেগম, আকুবের পাড়ার লিপি খাতুনসহ অনেকেই রয়েছেন। পাশাপাশি উপকরণ সরবরাহের নামে মোটা অংকের টাকা কর্তন করে কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীরা জানায়। এ ব্যাপারে প্রোডাকশন ম্যানেজার ফুয়াদ মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে তালিকাটি প্রস্তুত হয়েছে। তালিকাটি রাজনৈতিকভাবে করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হলে আমাদের করার কিছুই নেই। ভারপ্রাপ্ত বিআরডিবি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ইউএনও স্যার প্রকল্পটির উপজেলা সভাপতি, তিনিই তালিকাটির অনুমোদন দিয়েছেন। বিআরডিবির চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, আগের তালিকায় অনিয়ম থাকায় অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য দরিদ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুন করে তালিকা করা প্রয়োজন। তা না হলে প্রকল্পটির মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। প্রকল্পটির পরিচালক এবিএমএস রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মীরাই সার্ভের মাধ্যমে তালিকা করেছে। অনেক সময় উপজেলা পর্যায়ে অনেক চাপের কারণে কিছু স্বচ্ছল নামও যেতে পারে। এ জন্য উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও অনুমোদন দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে চালাতে চাই।
উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন কর্মসুচী’র (উদকনিক) ২য় পর্যায়ে পীরগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে স্বচ্ছলদের তালিকাভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেয়ায় ওই কর্মসুচীর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত দরিদ্ররা। তালিকা তৈরীর সময় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং প্রকল্পটির প্রোডাকশন ম্যানেজার যৌথভাবে ওই দুর্নীতি করেছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত ছাড়াও টাকা নিয়ে বহিরাগতদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীনে ওই কর্মসুচী চলছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরন কর্মসুচী’র প্রকল্পের আওতায় গত বছরের জানুয়ারীতে পীরগঞ্জের বড়দরগা, বড় আলমপুর ও রায়পুর ইউনিয়নে জরিপের মাধ্যমে দরিদ্রদের নাম বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত করে। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ওই ৩ ইউনিয়নের মোট ৯২০ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়। অর্থের বিনিময়ে তালিকায় স্বচ্ছলদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই প্রকল্পের অধীনে সেলাই/টেইলারিং, নকশী কাঁথা-নকশী টুপি-জাঙ্গিয়া, মোবাইল সার্ভিসিং এবং গ্রামীন ইলেকট্রিশিয়ান এই ৪ ট্রেডে ১২ জন করে প্রতি ব্যাচে ৪৮ জনকে ৬০ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীরা প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে প্রশিক্ষণ শেষে মোট ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন ভাতা না দিয়ে প্রকল্পটির প্রোডাকশন ম্যানেজার প্রশিক্ষণার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডের উপকরণ সরবরাহ দিয়ে টাকা কর্তন করে টাকা প্রদান করছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নাম তালিকার সময় কিংবা প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সময় প্রতিজনের কাছে বিআরডিবি কর্মকর্তা ও প্রোডাকশন ম্যানেজার ৩ হাজার টাকা করে উৎকোচ নিচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। এ জন্য স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য উপজেলার বেলবাড়ী গ্রামের জাহিরুল ইসলামের স্ত্রী প্রশিক্ষণার্থী আরজিনা বেগমের মাধ্যমে কয়েকজনের কাছ থেকে ওই উৎকোচ আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরজিনার নামে যাত্রীবাহী লেগুনা পরিবহন থাকলেও সে দরিদ্র হিসেবে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এ ছাড়াও প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের প্রশিক্ষণে স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য নিয়ামতপুরের চাকরীজীবি রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম ও শাহাজাহান আলীর স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেগম, দাড়িকাপাড়ার ইলিয়াছ মিয়ার স্ত্রী এমিলি বেগম, রঞ্জু মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম ও দাড়িকাপাড়ার আরিফুল ইসলাম, শ্যামদাসেরপাড়ার ছামিনা বেগম, আকুবের পাড়ার লিপি খাতুনসহ অনেকেই রয়েছেন। পাশাপাশি উপকরণ সরবরাহের নামে মোটা অংকের টাকা কর্তন করে কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণার্থীরা জানায়। এ ব্যাপারে প্রোডাকশন ম্যানেজার ফুয়াদ মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে তালিকাটি প্রস্তুত হয়েছে। তালিকাটি রাজনৈতিকভাবে করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হলে আমাদের করার কিছুই নেই। ভারপ্রাপ্ত বিআরডিবি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ইউএনও স্যার প্রকল্পটির উপজেলা সভাপতি, তিনিই তালিকাটির অনুমোদন দিয়েছেন। বিআরডিবির চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, আগের তালিকায় অনিয়ম থাকায় অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য দরিদ্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুন করে তালিকা করা প্রয়োজন। তা না হলে প্রকল্পটির মুল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। প্রকল্পটির পরিচালক এবিএমএস রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মীরাই সার্ভের মাধ্যমে তালিকা করেছে। অনেক সময় উপজেলা পর্যায়ে অনেক চাপের কারণে কিছু স্বচ্ছল নামও যেতে পারে। এ জন্য উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও অনুমোদন দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে প্রকল্পটি স্বচ্ছভাবে চালাতে চাই।