নীলফামারীতে প্রজেক্টর বিতরনের নামে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক ১৫ নভেম্বর॥
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারের বরাদ্দ মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টও বিতরণে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
পরিবহন খরচের নামে দুইশত থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত অবৈধ আদায়ের এসব অর্থ উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।

নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্র্মকর্তার দপ্তর সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার জেলার ছয় উপজেলার ২২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টর বরাদ্দ দেয়। গত বৃহস্পতিবার নীলফামারী সার্কিট হাউসে এসব সামগ্রীর বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এরপর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এসব ডিজিটাল উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছিল বিভিন্ন বিদ্যালয়ে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিতরণ এসব ডিজিটাল সামগ্রী বিতরণকালে দেখা গেছে ওই কার্যালয়ের সহকারী আব্দুল নূর সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে দুইশত ২৮ টাকা করে আদায় করছিলেন। এসময় টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘এসব সামগ্রী ঢাকা থেকে আনার পরিবহন খরচ নেয়া হচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক জেলা কার্যালয়ে উপকরণ নিতে আসা শিক্ষকরা বলেন, ‘সরকারি খরচে ডিজিটাল উপকরণ বিতরণের কথা থাকলেও আমাদের কাছে পরিবহন খরচের নামে প্রতি বিদ্যালয়ের কাছ থেকে দুশ ২৮ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে উপকরণ দিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যালয়ের কোন বরাদ্দ না থাকলেও ওই টাকা নিজের বেতনের অংশ থেকে পরিশোধ করছি আমরা।’

জেলার ডোমার উপজেলায় এসব উপকরণ বিতরণে নেয়া হচ্ছে পাঁচশত টাকা। সেখানকার  শিক্ষকরা বলেন,‘বিদ্যালয়ের ফা-ে এ বাবদ কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষকের বেতনের অংশ থেকে ওই টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
একই অবস্থা জেলার ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায়। পরিবহন খরচের নামে এসব উপজেলায় নেয়া হচ্ছে পাঁচশ করে টাকা।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান ম-ল বলেন,‘উপজেলায় এবারে ৪৬টি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রজেক্টর বিতরণ করা হয়েছে। সরকারী কোন বরাদ্দ না থাকায় ডিজিটাল এসব পণ্য ঢাকা থেকে আনতে জেলা অফিস পরিবহণ খরচ বহন করেছে। আবার জেলা থেকে উপজেলায় আনতে আরেক দফা খরচ হয়েছে। শিক্ষকদের কাছ থেকে ওই খরচের অংশ নেয়া হচ্ছে।
এইভাবে ডিমলা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন,‘উপজেলায় ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ডিজিটাল যন্ত্রাতি বরাদ্দ হযেছে। পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি বিদ্যালয়ের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা করে আদায় করা হ্েচ্ছ।

একদিকে সৈয়দপুর উপজেলায় ওই ডিজিটাল সামগ্রী বরাদ্দ হযেছে ৩৩টি সেখানে প্রতি বিদ্যালয়ের পাঁচশ টাকা পুরোটাই জেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে বলে শিক্ষা বিভাগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বলেন ‘এসব উপকরণ ঢাকা হতে নীলফামারী আনতে পরিবহনের জন্য সরকারি কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। নিজ খরছে আনতে হয়েছে। জেলায় ২২৮টি মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টর পরিবহনে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ওই ব্যয় বহনের জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয় থেকে দুই শত করে টাকা নেয়া হয়েছে। ওই খরচের জন্য সরকারী বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সরকারী বরাদ্দ এলে শিক্ষকদের টাকা ফেরৎ দেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4813558373451981265

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item