“সার্জিকাল স্ট্রাইকে” ভারত থেকে ফিরে আসছেন বাংলাদেশীরা

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৫ নভেম্বর॥
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের “সার্জিকাল স্ট্রাইকে” বিপাকে পড়েছেন ভারতে ভ্রমনে ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশীরা। দুর্ভোগের কারণে তারা ভারত ত্যাগ করে আসছেন প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে।
ভারতের তামিল নাডু রাজ্যের ভেলরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া নীলফামারী শহরের সবুজপাড়া মহল্লার আজিজ আহমেদ শুভ আজ মঙ্গলবার সকালে ভারত হতে ফিরে এসে জানান, আমিসহ আরো দু’জন গত বৃহস্পতিবার (১০নভেম্বর) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করি।
প্রবেশের পর বাংলাদেশী টাকার বিনিময়ে ভারতীয় রুপি সংগ্রহ করতে গিয়েই ঝামেলায় পড়ি। বিনিময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা দিতে পারছে না প্রয়োজনীয় টাকা। জনপ্রতি সর্বোচ্চ একহাজার টাকা দিয়ে আপাতত চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা এছাড়া রয়েছে কম রেটে বাংলাদেশী টাকা বিক্রিও। বাংলাদেশী ১শ টাকার বিনিময়ে বিনিময়কারীরা দিচ্ছেন ৭০টাকা।
আজিজ আহমেদ অভিযোগ করেন, ভেলরে যাওয়ার জন্য অন্তত ১লাখ টাকা প্রয়োজন হলেও চারদিন শিলিগুড়িতে অবস্থান করে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে দেশে ফেরত আসি। তিনি বলেন, রেস্তোরা, আবাসিক হোটেল অথবা বাসে উঠলেই সংশ্লিষ্ঠরা আগেই জানিয়ে দেন ৫শ কিংবা ১হাজার টাকার নোট গ্রহণ করা হবে না।
ভারতে যাওয়া সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের সহিদুল ইসলাম অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভারতে প্রবেশ করা থেকে ভারতীয় টাকার জন্য হন্য হয়ে বেরিয়েছি। কেউ টাকা দিতে পারেন নি। তাই ফিরে এসেছি।
চিকিৎসার জন্য যাওয়া ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, ৫শ ও ১হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ায় নোটগুলো অচল হয়ে পড়েছে দেশটিতে। কেউই গ্রহণ করছেন না।
নুর আলম অভিযোগ করেন, চিকিৎসার জন্য(আমার) প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০হাজার টাকা হলেও ভেলরে যেতে পারতাম কিন্তু বিনিময়কারীরা দিতে পারেন নি। ব্যাংকে গিয়েও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি বিদেশী হিসেবে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে চিকিৎসা না করিয়ে দেশে ফিরি।
দুর্ভোগের চিত্র স্বচোখে দেখে নুর আলম বলেন, নুতন নোট ছাড়লেও সেগুলো সংগ্রহে ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইনে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকছেন প্রত্যাশীরা। তাও আবার একজন সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকার বেশি সংগ্রহ করতে পারবেন না ব্যাংক হতে।
ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি স্থলবন্দর বন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী প্রভাস মজুমদার বলেন, আমরাও ব্যাংক থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারছি না। মানুষের দীর্ঘ লাইনের কারণে। কোন রমকে ১শ টাকার কিছু নোট সংগ্রহ করে ভারতে আসা বিদেশীদের দিয়ে চলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তবে তিনিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারতে না আসার পরামর্শ দেন।#

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 6368918365522296460

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item