আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর!
https://www.obolokon24.com/2016/11/history.html
ডেস্কঃ
আজ শনিবার সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রাকৃতিক তান্ডবে নোয়াখালী ও পাবত্য উপকূলীয় অঞ্চলগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভুমিতে। নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর (তৎকালীন চরবাটা), কোম্পানীগঞ্জ, ও হাতিয়া এবং সন্দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতি ছিল অবর্ণনীয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মধ্যরাতে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংনকারী ঘূর্নিঝড় ‘গোরকী’। বেসরকারী বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষের সলিল সমাধি হয় এ অঞ্চলে। গবাদিপশু, পাখিসহ অসংখ্য জীবজšু‘ মারা যায় জোয়ারের পানিতে। বিভিষীকাময় ওই দিনের কথা বলতে গিয়ে সুবর্ণচরের স্বজনহারাদের হাহাকার আর্তনাদ, আহাজারিতে এখনও কেঁপে উঠে আকাশ বাতাস। অনেক পরিবারের বংশ শুন্য হয়ে গেছে, আবার কারো পরিবারের দু-একজন বেঁচে আছে গাছের ডাল-পালা ও গবাদিপশুর লেজ ধরে।
ভোর হতেই সেইদিন দেখা যায় সবদিকে শুধু লাশ আর লাশ। এ জনপদ যেন এক মৃত্যু উপত্যকা। সারি সারি শিশু, নারী, আবাল-বৃদ্ধের লাশের লম্বা মিছিল। সেদিন কাফন ছাড়াই দাফন হয়েছিল বেশির ভাগ লাশ। অনেকের লাশ জোয়ারে ভেসে যায় দূর-দুরান্তে। হাজার হাজার মানুষ ও মৃত পশুপাখিকে এক গর্তে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। বহু লাশ গাছের উপর থেকে পঁচে গলে পড়েছে। মানুষসহ গবাদি পশুপাখি ও জীবজšু‘র পঁচা গন্ধে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল ওই অঞ্চলের পরিবেশ। কোথাও নিশ্বাস নেওয়ার উপায় ছিল না। এই জনপদ জুড়ে ছিল সর্বত্রই মর্মস্পর্শী হৃদয় বিদারক হাহাকার আর বেঁেচ থাকাদের আর্তনাদ। বিরান হয়ে গিয়েছিল মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম।
ভয়াল সেই বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের তনজেবের নেসার (৭৯) কাছে ওই দিনের ভয়াবহতার কথা জানতে চাইলে তিনি হাউমাউ করে কেঁেদ উঠেন। তিনি জানান, সেই বন্যায় তার পরিবারের ১২ জন ভেসে গেছে। তাদের কারো লাশই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, ঝড়ের আগে আকাশ খুব মেঘলা ছিল এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাত আনুমানিক ১১টার পর শোঁ শোঁ শব্দ করতে করতে দেখলাম জোয়ারের পানিতে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর বাচাঁও বাঁচাও বলে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে সব।
আজ শনিবার সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রাকৃতিক তান্ডবে নোয়াখালী ও পাবত্য উপকূলীয় অঞ্চলগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভুমিতে। নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর (তৎকালীন চরবাটা), কোম্পানীগঞ্জ, ও হাতিয়া এবং সন্দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতি ছিল অবর্ণনীয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মধ্যরাতে আঘাত হানে মহাপ্রলয়ংনকারী ঘূর্নিঝড় ‘গোরকী’। বেসরকারী বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষের সলিল সমাধি হয় এ অঞ্চলে। গবাদিপশু, পাখিসহ অসংখ্য জীবজšু‘ মারা যায় জোয়ারের পানিতে। বিভিষীকাময় ওই দিনের কথা বলতে গিয়ে সুবর্ণচরের স্বজনহারাদের হাহাকার আর্তনাদ, আহাজারিতে এখনও কেঁপে উঠে আকাশ বাতাস। অনেক পরিবারের বংশ শুন্য হয়ে গেছে, আবার কারো পরিবারের দু-একজন বেঁচে আছে গাছের ডাল-পালা ও গবাদিপশুর লেজ ধরে।
ভোর হতেই সেইদিন দেখা যায় সবদিকে শুধু লাশ আর লাশ। এ জনপদ যেন এক মৃত্যু উপত্যকা। সারি সারি শিশু, নারী, আবাল-বৃদ্ধের লাশের লম্বা মিছিল। সেদিন কাফন ছাড়াই দাফন হয়েছিল বেশির ভাগ লাশ। অনেকের লাশ জোয়ারে ভেসে যায় দূর-দুরান্তে। হাজার হাজার মানুষ ও মৃত পশুপাখিকে এক গর্তে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। বহু লাশ গাছের উপর থেকে পঁচে গলে পড়েছে। মানুষসহ গবাদি পশুপাখি ও জীবজšু‘র পঁচা গন্ধে বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল ওই অঞ্চলের পরিবেশ। কোথাও নিশ্বাস নেওয়ার উপায় ছিল না। এই জনপদ জুড়ে ছিল সর্বত্রই মর্মস্পর্শী হৃদয় বিদারক হাহাকার আর বেঁেচ থাকাদের আর্তনাদ। বিরান হয়ে গিয়েছিল মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম।
ভয়াল সেই বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের তনজেবের নেসার (৭৯) কাছে ওই দিনের ভয়াবহতার কথা জানতে চাইলে তিনি হাউমাউ করে কেঁেদ উঠেন। তিনি জানান, সেই বন্যায় তার পরিবারের ১২ জন ভেসে গেছে। তাদের কারো লাশই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, ঝড়ের আগে আকাশ খুব মেঘলা ছিল এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাত আনুমানিক ১১টার পর শোঁ শোঁ শব্দ করতে করতে দেখলাম জোয়ারের পানিতে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর বাচাঁও বাঁচাও বলে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। মুহুর্তেই শেষ হয়ে গেছে সব।