অগ্নিকান্ডে ছাই হলো নীলফামারীর ৫৫ পরিবারের বসত ঘর
https://www.obolokon24.com/2016/11/domar_75.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১২ নভেম্বর॥
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে ৫৫ পরিবারের বসতঘর। নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা বানিয়াপাড়া হিন্দু পল্লীতে গতকাল শুক্রবার(১১ নভেম্বর) রাতের এই আগুনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের নরেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির রান্নাঘরে থাকা পাটখড়ির গাঁদা হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ওই পল্লীর ঘনবসতিপূর্ন অন্যান্য পরিবারের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একে একে ৫৫টি পরিবারের ১৫০টি টিনের বসতঘর ,ঘরে থাকা আসবাবপত্র , জমির কাগজপত্র, সোনাদানা, কাপড়জামা, আলুবীজ, পাট,ধান-চাল, নগদ অর্থ ,দুইটি ছাগল, ৫টি বাইসাইকেল, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কেউ কোন কিছু রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় খবর দিয়ে নিয়ে আসা হয় নীলফামারী ও ডোমার উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তারা সহ এলাকাবাসী দীর্ঘ তিন ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে রাতের খাবার, শনিবার সকালে নাস্তা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে।
হিন্দু পল্লীতে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল পল্লী বিদ্যুতের। অগ্নিকান্ডের খবরে তাৎক্ষনিকভাবে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দিয়ে আগুন নেভানোর সহযোগীতা করা হয় বলে জানান নীলফামারী পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসনিক সম্ময়নকারী কর্মকর্তা তরফদার এনামুল কবির। তিনি বলেন এই অগ্নিকান্ডে হিন্দু পল্লীর সংযোগকৃত ২০ পরিবারের বৈদ্যুতিক মিটার পুড়ে গেছে।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান নীলফামারীর দুইটি ও ডোমার উপজেলার একটি সহ মোট তিনটি ইউনিট দীর্ঘ তিনঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। তিনি আরো জানান ওই গ্রামের নরেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির রান্নাঘরের বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের সুত্র ধরেই প্রথমে পাটখড়ির গাদায় আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের মতে ক্ষতির পরিমান ১৫ লাখ টাকা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ বেলায়েত হোসেন জানান রাতেই ঘটনাস্থল তিনি সহ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে তিনটি করে কম্বল ও একটি করে শাড়ী বিতরন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৫টি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ১৫০টি বসতঘরের তালিকা করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকালে ওইসব ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোর মাঝে জেলা ত্রানভান্ডারের খয়রাতি সাহায্য হিসাবে পরিবার প্রতি নগদ দুই হাজার টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরন করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান প্রমুখ।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে ৫৫ পরিবারের বসতঘর। নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা বানিয়াপাড়া হিন্দু পল্লীতে গতকাল শুক্রবার(১১ নভেম্বর) রাতের এই আগুনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের নরেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির রান্নাঘরে থাকা পাটখড়ির গাঁদা হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ওই পল্লীর ঘনবসতিপূর্ন অন্যান্য পরিবারের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একে একে ৫৫টি পরিবারের ১৫০টি টিনের বসতঘর ,ঘরে থাকা আসবাবপত্র , জমির কাগজপত্র, সোনাদানা, কাপড়জামা, আলুবীজ, পাট,ধান-চাল, নগদ অর্থ ,দুইটি ছাগল, ৫টি বাইসাইকেল, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কেউ কোন কিছু রক্ষা করতে পারেনি। এ সময় খবর দিয়ে নিয়ে আসা হয় নীলফামারী ও ডোমার উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তারা সহ এলাকাবাসী দীর্ঘ তিন ঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে রাতের খাবার, শনিবার সকালে নাস্তা ও দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে।
হিন্দু পল্লীতে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল পল্লী বিদ্যুতের। অগ্নিকান্ডের খবরে তাৎক্ষনিকভাবে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দিয়ে আগুন নেভানোর সহযোগীতা করা হয় বলে জানান নীলফামারী পল্লী বিদ্যুতের প্রশাসনিক সম্ময়নকারী কর্মকর্তা তরফদার এনামুল কবির। তিনি বলেন এই অগ্নিকান্ডে হিন্দু পল্লীর সংযোগকৃত ২০ পরিবারের বৈদ্যুতিক মিটার পুড়ে গেছে।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান নীলফামারীর দুইটি ও ডোমার উপজেলার একটি সহ মোট তিনটি ইউনিট দীর্ঘ তিনঘন্টা চেস্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। তিনি আরো জানান ওই গ্রামের নরেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ির রান্নাঘরের বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের সুত্র ধরেই প্রথমে পাটখড়ির গাদায় আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের মতে ক্ষতির পরিমান ১৫ লাখ টাকা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ বেলায়েত হোসেন জানান রাতেই ঘটনাস্থল তিনি সহ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে তিনটি করে কম্বল ও একটি করে শাড়ী বিতরন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৫টি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের ১৫০টি বসতঘরের তালিকা করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকালে ওইসব ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোর মাঝে জেলা ত্রানভান্ডারের খয়রাতি সাহায্য হিসাবে পরিবার প্রতি নগদ দুই হাজার টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল বিতরন করেন জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান প্রমুখ।