মৃত্যুর প্রহর গুনছে রাণীশংকৈল মালদোয়ার জমিদার বাড়ীটি!
https://www.obolokon24.com/2016/10/thakurgaon_15.html
সফিকুল ইসলাম শিল্পী, ঠাকুরগাঁও ঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মালদোয়ার জমিদার বাড়িটি সংস্কারের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। ঢাকা হতে প্রায় ৪শত কি.মি উত্তর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নামক নদীর পূর্ব পাড় ঘেষে জড়াজীর্ন অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে তৎকালিন জমিদার রাজা টংকনাথের বাড়ি দেখা যায়। যত দুর জানা যায় রাজা টংকনাথ সে সময় সু শিক্ষিত ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। ১৯১৫ খ্রিঃ কাঠের সিড়ি বিশিষ্ট রাজবাড়িটি তৈরি করেন।রাণীশংকৈলের সমস্থ মাটি ও মানুষকে নিয়ে টংকনাথ ইতিহাসের পাতায় যেমন স্থান করে নিয়েছেন তেমনি হাতির পিঠে সৈন্যদের সাথে করে ছুটেছেন খাজনা আদায়ের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে লুকিয়ে এই এলাকার রাজাকে দেখতেন। আর সামনে দাড়ানোর কারোই সাহস হত না।জমিদারী রাজবাড়ি ঘিরে সৈন্য সামান্ত, যোদ্ধা, জলসাঘর, মন্দির ও অপরাধীদের বিচার কক্ষ এমন অনেক ভাঙ্গাচুড়া স্থাপনা কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সময়ের ব্যবধানে রাজা টংকনাথের সেদিনের আলোর ঝলকানিতে সৌন্দর্য মন্ডিত রাজবাড়িটিতে বর্তমানে জঙ্গল, সাপ, বিচ্ছু, পোকামাকড়ের বসবাস! দেখার কেউ নেই। জানা যায় রাজা টংকনাথের বাবা বুদ্ধিনাথ চৌধুরী ছিলেন মৈথিলি ব্রাক্ষ্মণ এবং কাপতি হারে ঘোষ বাগোয়ালা বংশিয় জমিদারের শ্যামরায় মন্দিরের বিশ্বস্ত বেবায়েত। নিঃ সন্তান বৃদ্ধ গোয়ালা কাশিবাশে যাওয়ার সময় সমস্থ জমিদারি সেবায়েতের তত্বাবধায়নে রেখে যান আর তৎকালিন তাম্রপাত্রে দলিল করে দিয়ে যান যে, “কাশি থেকে ফিরে না এলে শ্যামরায় মন্দিরের সেবায়েত এ জমিদারির মালিক হিসাবে বিবেচিত হবেন। সময়ের পরিক্রমায় বৃদ্ধ জমিদার ফিরে না আসার কারণে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী জমিদারী ফিরে পেয়ে যান। রাজবাড়ীর নির্মাণের কাজ বুদ্ধিনাথ চৌধুরী শুরু করলেও শেষ করেন তৎকালিন আধুনিক রাজা হিসাবে খ্যাত জমিদার টংকনাথ চৌধুরী। বিশিষ্ট জনের সুত্রে জানা যায় রাজা টংকনাথ চৌধুরীর স্ত্রী জয়নামা শংকর দেবী আর তার নামেই রাণীশংকৈল নাম করণ করা হয়েছে। বর্তমানে জয়কালি হাট তার পাশে একটি মন্দির ও সাথেই লাগানো এ এলকার মানুষের প্রিয় নদী কুলিক। সাথে লাগানো রাজা টংকনাথের স্ত্রী জয়নামা সংকর দেবির স্নান করার ঘাট।
বর্তমান এমপির দ্বিতল ভবনের পাশেই জমিদার টংকনাথের অরক্ষিত ও সংস্কার বিহীন রাজবাড়িটি জরার্জীন অবস্থায় বাদুর, কাক পক্ষীর আবাস স্থল হিসেবে পরে রয়েছে। নেই কারো এই অবহেলিত রাজবাড়িটির সংস্কারের কোন উদ্যোগ। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের চোখকে বার বার পাস কাটিয়ে অবহেলিত রাজবাড়িটি চাতক পাখির মত চেয়ে আছে। কথিত আছে বৃটিশ কোন এক কর্মচারীকে তৎকালিন সময়ে রাজা টংকনাথ টাকার নোট পুড়িয়ে চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন। আর সে দিন থেকেই তিনি চৌধুরী হিসেবে উপাধি পেয়েছিলেন। এ এলাকার শিক্ষিত সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ যুগের দাবি হিসেবে এই রাজবাড়িটির প্রতি সংস্কারের সু-দৃষ্টি ও সুব্যবস্থা কামনা করেন।
ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের এমপি ইয়াসিন আলী জমিদার বাড়ি সম্পর্কে বলেন- ‘সংস্কারে জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়েছে’। উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন- আসলেই এই রাজবাড়িটির সংস্কার হওয়া উচিত। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান। এছাড়াও রাজবাড়িটি এক সময় ম্যানেজার হিসাবে আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানের সুযোগ্য সন্তান জাতীয় পার্টির সভাপতি আজিজুল চেয়ারম্যান বলেন- রাজবাড়িটি অবহেলার স্বীকার এর সংস্কার হওয়া খুব প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার মালদোয়ার জমিদার বাড়িটি সংস্কারের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। ঢাকা হতে প্রায় ৪শত কি.মি উত্তর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কুলিক নামক নদীর পূর্ব পাড় ঘেষে জড়াজীর্ন অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে তৎকালিন জমিদার রাজা টংকনাথের বাড়ি দেখা যায়। যত দুর জানা যায় রাজা টংকনাথ সে সময় সু শিক্ষিত ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। ১৯১৫ খ্রিঃ কাঠের সিড়ি বিশিষ্ট রাজবাড়িটি তৈরি করেন।রাণীশংকৈলের সমস্থ মাটি ও মানুষকে নিয়ে টংকনাথ ইতিহাসের পাতায় যেমন স্থান করে নিয়েছেন তেমনি হাতির পিঠে সৈন্যদের সাথে করে ছুটেছেন খাজনা আদায়ের জন্য গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে লুকিয়ে এই এলাকার রাজাকে দেখতেন। আর সামনে দাড়ানোর কারোই সাহস হত না।জমিদারী রাজবাড়ি ঘিরে সৈন্য সামান্ত, যোদ্ধা, জলসাঘর, মন্দির ও অপরাধীদের বিচার কক্ষ এমন অনেক ভাঙ্গাচুড়া স্থাপনা কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সময়ের ব্যবধানে রাজা টংকনাথের সেদিনের আলোর ঝলকানিতে সৌন্দর্য মন্ডিত রাজবাড়িটিতে বর্তমানে জঙ্গল, সাপ, বিচ্ছু, পোকামাকড়ের বসবাস! দেখার কেউ নেই। জানা যায় রাজা টংকনাথের বাবা বুদ্ধিনাথ চৌধুরী ছিলেন মৈথিলি ব্রাক্ষ্মণ এবং কাপতি হারে ঘোষ বাগোয়ালা বংশিয় জমিদারের শ্যামরায় মন্দিরের বিশ্বস্ত বেবায়েত। নিঃ সন্তান বৃদ্ধ গোয়ালা কাশিবাশে যাওয়ার সময় সমস্থ জমিদারি সেবায়েতের তত্বাবধায়নে রেখে যান আর তৎকালিন তাম্রপাত্রে দলিল করে দিয়ে যান যে, “কাশি থেকে ফিরে না এলে শ্যামরায় মন্দিরের সেবায়েত এ জমিদারির মালিক হিসাবে বিবেচিত হবেন। সময়ের পরিক্রমায় বৃদ্ধ জমিদার ফিরে না আসার কারণে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী জমিদারী ফিরে পেয়ে যান। রাজবাড়ীর নির্মাণের কাজ বুদ্ধিনাথ চৌধুরী শুরু করলেও শেষ করেন তৎকালিন আধুনিক রাজা হিসাবে খ্যাত জমিদার টংকনাথ চৌধুরী। বিশিষ্ট জনের সুত্রে জানা যায় রাজা টংকনাথ চৌধুরীর স্ত্রী জয়নামা শংকর দেবী আর তার নামেই রাণীশংকৈল নাম করণ করা হয়েছে। বর্তমানে জয়কালি হাট তার পাশে একটি মন্দির ও সাথেই লাগানো এ এলকার মানুষের প্রিয় নদী কুলিক। সাথে লাগানো রাজা টংকনাথের স্ত্রী জয়নামা সংকর দেবির স্নান করার ঘাট।
বর্তমান এমপির দ্বিতল ভবনের পাশেই জমিদার টংকনাথের অরক্ষিত ও সংস্কার বিহীন রাজবাড়িটি জরার্জীন অবস্থায় বাদুর, কাক পক্ষীর আবাস স্থল হিসেবে পরে রয়েছে। নেই কারো এই অবহেলিত রাজবাড়িটির সংস্কারের কোন উদ্যোগ। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের চোখকে বার বার পাস কাটিয়ে অবহেলিত রাজবাড়িটি চাতক পাখির মত চেয়ে আছে। কথিত আছে বৃটিশ কোন এক কর্মচারীকে তৎকালিন সময়ে রাজা টংকনাথ টাকার নোট পুড়িয়ে চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন। আর সে দিন থেকেই তিনি চৌধুরী হিসেবে উপাধি পেয়েছিলেন। এ এলাকার শিক্ষিত সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ যুগের দাবি হিসেবে এই রাজবাড়িটির প্রতি সংস্কারের সু-দৃষ্টি ও সুব্যবস্থা কামনা করেন।
ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের এমপি ইয়াসিন আলী জমিদার বাড়ি সম্পর্কে বলেন- ‘সংস্কারে জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়েছে’। উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান বলেন- আসলেই এই রাজবাড়িটির সংস্কার হওয়া উচিত। তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান। এছাড়াও রাজবাড়িটি এক সময় ম্যানেজার হিসাবে আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানের সুযোগ্য সন্তান জাতীয় পার্টির সভাপতি আজিজুল চেয়ারম্যান বলেন- রাজবাড়িটি অবহেলার স্বীকার এর সংস্কার হওয়া খুব প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।