হরিপুরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার নন্দগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কটাক্ষ ও ব্যাঙ্গ করে কথাবার্তা  গত ২১/০৮/১৬ইং তারিখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন সাথে অশোভনীয় আচরনের বিচার আজ পেল না মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের মিয়ে শিউলি আক্তার। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অশ্লীন ভাষায় ও মুক্তিযোদ্ধাদের সস্পর্কে কটাক্ষ ও ব্যাঙ্গ করার বিচারের দাবি বিভিন্ন জায়াগায় অভিযোগ করলেও আজও বিচার পায়নি সহকারি শিক্ষিকা শিউলি আক্তার বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারি শিক্ষিকা শিউলি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি মাসখানিক হয়ে গেল উক্ত অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমি নাকি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি পাই । তাই আমি নাকি পাগল ছাগল শিক্ষক। চাকুরির কোন নিয়মকানুন জানি না। এমনকি তার দোহাই ও ছত্র ছায়ায় আমি চাকুরি করি। আরো অনেক অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে যাহা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমনকি প্রধান শিক্ষক আমাকে কু-প্রস্তাব দেন এবং সম্মান হানীর চেষ্টা করেন এর প্রতিবাদ করলে  তিনি আমাকে এই বিদ্যালয় হতে বদলির হুমকি দেন। । এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে, তিনি তার প্রেক্ষিতে অন্যান্য কয়েকজন শিক্ষকগনের উপস্থিতিতে শিক্ষা অফিসে প্রধান শিক্ষক ও আমাকে জোর করে মিমাংশা করে দেন এবং প্রধান শিক্ষক কথা দেন, পরবর্তীতে আর অনুরূপ ঘটনা ও অশ্লীন কথাবার্তা হবে না আমাকে এবারের মতো ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু আবারও গত ২৪/০৮/১৬ইং তারিখে প্রধান শিক্ষকের পরামর্শে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ ও গায়ে হাত তুলেন, হুমকি দিয়ে বলেন যে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ ও কাউকে কিছু বললে তোর কপালে দুঃখ আছে । বর্তমানে আমি মানবেতার আশংক্ষা বিরাজ করছি । তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান লোভী প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমি কোন মুক্তিযোদ্ধা সমসম্পর্কে কটাক্ষ ও ব্যাঙ্গ করিনী এবং শিউলি যেগুলো কথা বলেছে সম্পুর্ণ মিথ্যা। তবে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাধমিক শিক্ষা অফিসার ইউনুস আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক মোশারফ এর বিরুদ্ধে এর আগে অভিযোগ ছিল। আমি ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে সেটা মিমাংশা করে দিয়েছি। তারপরেও আবার একই অভিযোগ বিষয়টা ভলোভাবে দেখতে হবে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডিপুটি কমান্ডার সোলেমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এবং তার পরিবারের সন্তানদের এ ধরনের অশ্লীন আচরণ কখনো মেনে নেওয়া যায়না আমি প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনর বিরুদ্ধে সরকারের কাছে বিচার আশা করি।

পুরোনো সংবাদ

ঠাকুরগাঁও 9069538462067141955

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item