রমেক হাসপাতালের কর্মচারী সমিতির সম্পাদক মোখলেছুর রহমানের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি

হাজী মারুফ :

রমেক হাসপাতালের সরকারী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোখলেছুর রহমানের হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছে নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনরা।সোমবার স্থানীয় সত্যের বন্ধন  অফিস কার্যালয়ে তারা এক সংবাদ সম্মেলনে এদাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মরহুম মোখলেছুর রহমানের শ্বশুর খলিলুর রহমান। এসময় মরহুমের স্ত্রী খোরশেদা বেগম, মেয়ে মাহবুবা মৌ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রমেক হাসপাতালের সরকারী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানকে গত ৩০ আগষ্ট হাসপাতালের কতিপয় নামধারী সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বর হামলা চালায় । সেসময় গুরুতর আহত হয়ে রচিমহাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে গত ৯ সেপ্টেম্বর মারা যান।
মরহুমের স্ত্রী খোরশেদা বেগম বলেন, স্বামী সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যাওয়ার পর মামলা হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে হালকা ভাব প্রদর্শন করছে। বর্তমানে আসামীরা ঘুরে বেরাচ্ছে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মামলার আসামী মশিউর রহমান, আশিকুর রহমান নয়ন, আব্দুর রউফ সরকার, শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মামুনুর রশিদ বিপ্লবসহ অজ্ঞাতদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে তারা আমাদের পরিবারের উপরও হামলা করতে পারে। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
মরহুমের মেয়ে মাহবুবা মৌ বলেন, আমার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
রংপুর কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আসামীদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে তবে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আ.স.ম বরকতুল্লাহ বলেন, রমেক হাসপাতালের কর্মচারী আশিকুর রহমান নয়ন ও আলী আহম্মেদ মজুমদার বাবুকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করায় তাদের চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত লিখিত আদেশ জারি করা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1233288016374833334

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item