নীলফামারীতে জিংক ধান ব্রিধান ৬২ কর্তনের উপর মাঠ দিবস
https://www.obolokon24.com/2016/10/nilphamari_77.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৬ অক্টোবর॥
আরডিআরএস বাংলাদেশ এর হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ প্রোগ্রামের আওতায় নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার চাপড়াসরমজানী ইউনিয়নে নাসেরটারী গ্রামের জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২ এর ফসল কর্তন উপলক্ষ্যে গত ৫ অক্টোবর ২০১৬ মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জনাব গোলাম মো: ইদ্রিস। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন আমরা এতদিন শুধু ধান থেকে চাল তারপর ভাত খেতাম কিন্তু আজ আমরা এমন এক প্রযুক্তির যুগে এসে গেছি এখন থেকে আমরা জিংক সমৃদ্ধ ধান পাচ্ছি ও ভাত খাব ফলে আমাদের শরীরে জিংকের ঘাটতি পূরণ হবে আমরা বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাব অর্থাৎ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে তারা লাভবান হবেন ফলে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরাহিুত হবে। আমি আজ কৃষকের সাথে মাঠে ধান কেটে যা শিখলাম তা হলো আসলেই যারা ফসল উৎপাদন করেন তারাই আমাদের দেশের প্রকৃত বন্ধু। জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ ও প্রতি কেজিতে ১৯ মিলিগ্রাম জিংক আছে যা দিয়ে বিশেষ করে মেয়ে ও শিশুদের শরীরের গঠন উন্নত হবে আমরা মেধাবী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারব। পরিশেষে আপনারা যারা এধরনের কাজ বাস্তবায়ন করেছেন বিশেষ করে এ অঞ্চলের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ, হাভেস্টপ্লাস প্রকল্পের সম্মানিত প্রকল্প পরিচালক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ নীলফামারী ইউনিট কর্মসূচি সনম্বয়কারী কেএম রাশেদুল আরেফীন, এই কার্যক্রমের আওতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ চলতি বোরো মৌসুমে নীলফামারী জেলায় মোট ১২৪৫ জন কৃষককে এই ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়। আরডিআরএস বাংলাদেশ হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশ সহযোগিতায় আমন মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সদর, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১২৪৫ জন কৃষক ৪১৫ একর জমিতে এই জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৬২ প্লট স্থাপন করেছে। জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬২ ১০০ দিনে ধান কর্তন করে ৩.৪৮ টন/হে: ফলন হয়।
বিশেষ অতিথি কান্টি ম্যানেজার, হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশের ডা: খায়রুল বাশার তার বক্তবে এই ধানের প্রসারে ডিএই এর সহযোগিতা সহ এলাকার জনগনকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, লাভের জন্য নয় শরীরের জিংকের অভাব পুরনের জন্য এই ধান চাষের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।