ফলো আপ-নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী আর্জিনাকে আইনি সহায়তা দেবে আইন ও সালিস কেন্দ্র

বিশেষ প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর॥
ডিমলায় গৃহকর্তার নির্যাতনে গৃহকর্মী আরজিনা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে! ” শিরোনামে রবিবার  প্রকাশিত অবলোকনে সংবাদের পর দেশের গন্ডি ছেড়ে বিদেশেও ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকে ফোন করে গৃহকর্মী শিশু আর্জিনার খবর জানতে চান। সেই সঙ্গে এই নির্যাচনের আইন সহায়তা দিতে  ঢাকার আইন ও সালিস কেন্দ্র এগিয়ে এসেছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এ্যাডঃ শিল্পি শাহ ঢাকা হতে  মোবাইল ফোনে   বলেন, নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে টাঙ্গাইল আদালতে গিয়ে মামলা করতে সকল খরচ আইন ও সালিশ কেন্দ্র বহন করবে।
এ ছাড়া নির্যাতিত শিশুটির চিকিৎসার জন্য লন্ডন প্রবাসী মাদারীপুরের আব্দুল জলিল ব্যাপারী ২০ হাজার টাকা আর্জিনার মায়ের নামে প্রেরন করেছে বিকালে।
আজ সোমবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আর্জিনাকে দেখতে যায়  ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় তারা আর্জিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে  কথা করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
এ ছাড়া আর্জিনার চিকিৎসা ও আইন সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন পল্লীশ্রী এলএইচডিপি প্রকল্পের ফিল্ড ফেসিলিটের ও মানবাধিকার কর্মী নার্গিস বেগম ,শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ডিমলা উপজেলা মোবাইল টিমের সদস্যরা।
 ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যেহেতু মেয়েটি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন টাঙ্গাইলে। সেহেতু এ সংক্রান্ত মামলা  টাঙ্গাইল সদর থানা বা  আদালতে করতে হবে।
ডিমলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইয়াসমিন ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, শিশু মেয়েটি যথাসাধ্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাকে দুই একদিনের মধ্যে  উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করতে হবে।
 এদিকে আজ সোমবারও  টাঙ্গাইলের তাজুল ইসলাম  মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে জানান  তিনি  খবরটি দেখে বলেন তার বাড়ির কোন সদস্য আর্জিনাকে নির্যাতন আদৌ করেনি। আর্জিনা চর্ম রোগে আক্রান্ত। 
উল্লেখ যে শিশু গৃহকর্মী আর্জিনা রবিবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে নীলফামারীর ডিমলার সঙ্গে লাগানো তিস্তা নদীর ওপারে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার আরাজি শেখ সিন্ধু গ্রামের  আনছার আলী ও মা আনজু বেগমের মেয়ে।
সে গত ৭ বছর ধরে টাঙ্গাইল জেলা শহরের পৌর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়াডের বিশ্বাস বেতকা মহল্লার শিবনাথ পাড়ার আমির আলীর ছেলে তাজুল ইসলামের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। মেয়েটিতে ওই বাড়িতে কাজের জন্য নিয়ে গিয়ে দেয় ডিমলার সুঠিবাড়ির শাহিনুর নামের এক ব্যাক্তি।
অভিযোগ গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে ওই বাড়ির গৃহকর্তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও তাদের মেয়ে লাভলী আক্তারের নিষ্ঠ’র বর্বরতা নির্যাতনের শিকার হয় আর্জিনা। গত শনিবার রাতে আর্জিনাকে তার দাদা নুরু মিয়া টাঙ্গাইল হতে অসুস্থ্য অবস্থায়  নিয়ে আসে। এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।