মাদক সম্রাজ্ঞী ও দেহ ব্যবসায়ী শিউলির গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে রংপুর
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_94.html
হাজী মারুফ :
রংপুরে কুখ্যাত মাদক ও দেহ ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের শালবন, নবীনগর ও বোতলাপাড়া এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার ওই তিন এলাকার হাজারো মানুষ নারী পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল করে সিটি কর্পোরেশন, ডিসি ও এসপি অফিস ঘেরাও করে স্বারকলিপি প্রদান করেছে। পরে মাদক স¤্রাজ্ঞী ‘শিউলি’র কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধরা।
সকালে নগরীর আর.সি.সি.আই স্কুল এন্ড কলেজের সামন থেকে ২৫নং ওয়ার্ড “মাদক ও পতিতা বৃত্তি উচ্ছেদ কমিটি’র উদ্যেগে সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ-শিশু বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পরে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার স্বারকলীপি গ্রহন করে বলেন, মাদক স¤্রাজ্ঞী ‘শিউলিকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। শিঘ্রই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পরে বিক্ষুব্ধরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধরা ‘হটাও শিউলি’ বাচাও যুব সমাজ’ ‘শিউলি হটাও’ রংপুর বাঁচাও সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মিজান বিক্ষুব্ধদের শান্ত করে স্বারকলিপি গ্রহন করেণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে রংপুরের কুখ্যাত মাদক ও দেহ ব্যাবসায়ী শিউলিকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মাদক ব্যাবসাসহ অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িতদের এক বিন্দু ছাড়ও দেয়া হবেনা। এসময় তিনি মাদক নির্মুলে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের করা ভাবে নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার কার্য়ালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মাদক ও পতিতা উচ্ছেদ কমিটির আহবায়ক ও ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরন্নবী ফুলু,মহিলা কাউন্সিলর হাসনা বানু, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর আরজানা ছালেক, পূর্ব শালবন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, বোতলা জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক এড. মোশারফ হোসেন কাজল, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম মুকুল, ব্যাবসায়ী আব্দুর রফিক, আব্দুল আজিজ, সাংবাদিক ছালেকুজ্জামান ছালেক, আব্দুল গফুর প্রমুখ। সব শেষে বিক্ষুব্ধরা রংপুর সিটি মেয়র বরাবর স্বারকলিপি দেন।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের পূর্বÑশালবন নবীনগরে (সাবেক গাইবান্ধা টারী) এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে ইয়াবা, ফেন্সিডেল, গাজাঁ, হেরোইন সহ মাদক ও দেহ ব্যবসার বিশাল স¤্রাজ্য গড়ে তুলেছে কূ-খ্যাত মাদক স¤্রাজ্ঞি ও মক্ষিরানী আঞ্জুমান আরা শিউলী, তার স্বামী সাইদুর রহমান বাবু ও তার পরিবার। ওই নারী এলাকার কোমল মতি যুবক ও যুবতিদের ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে কাছে ডেকে নিয়ে নেশায় আসক্ত করে এবং তাদের দিয়ে নানা রকম অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালায়। তার প্রলোভনে পরে ইতিমধ্যেই অনেক পরিবারের সম্ভাবনাময় ছেলে মেয়ের সোনালী ভবিষৎ নষ্ট হয়েগেছে। অসহায় পরিবার গুলোর বোবা কান্নায় ভাড়ি হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ বাতাস। প্রশাসনের কতিপয় দূর্ণীতি পরায়ন কর্মকর্তার ছত্র ছায়ায় সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব¡ কায়েম করেছে। বরাবরই ওই মাদক স¤্রাজ্ঞি দম্ভ করে বলে, তার একটা চুলও কেউ বাকাঁ করতে পারবেনা। এর আগে এলাকার কয়েকজন সচেতন মানুষ তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নানা রকম হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগে সহায় সম্বলহীন এই দুষ্ট নারী লালমনির হাট জেলার তিস্তা থেকে রংপুরে এসে স্বল্প সময়ে দোতালা বাড়ী, জমাজমি ও বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন। যার একমাত্র আয়ের উৎস মাদক আর দেহ ব্যবসা।