পীরগঞ্জের চৈত্রকোল ও মিলনপুর ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের হিড়িক
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_33.html
রংপুর অবোলকন অফিস :
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রস্তাবিত ভেন্ডাবাড়ী থানার চৈত্রকোল ও মিলনপুর,বড়বালা ইউনিয়নের কাজী সরকারী নিয়ম নীতি না মেনে, বাল্য বিবাহের আইনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে বাল্য বিবাহের কার্যক্রম।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের কাজী মোজাফফর রহমান ও মিলনপুর ইউনিয়নের কাজী ফজলুল হক নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসেবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ৩য় স্থান আর্জন করে।
তিনি সে সময় নিয়োগ পরীক্ষায় ৩য় স্থানে থাকার পরেও নিয়োগ বোর্ডের জনৈক্য ব্যাক্তিকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তিনি নিয়োগ পান। আর নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তারা নিয়োগের টাকা তুলতে অবৈধ কার্যক্রম করছে।
কিছুদিন থেকে তিনি ঐ এলাকায় স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহ দিচ্ছেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে, গত কয়েক মাসে তিনি প্রায় ১৫-২০টি বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রেরী করেছেন। এমন কি যে সব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে সনদ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত নবালক,তাদের অভিভাবদের কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব/চেয়ারম্যান/মেম্বারদের কাছ থেকে ভুয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রার্থির বয়স বাড়িয়ে সনদ গ্রহন করেন। এতে করে দেখা যে, বিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের জন্ম তারিখ অনুযায়ী এখনও বিবাহ বন্ধনের বয়স । তিনি তাদেরকেও তিনি সাবালক দেখিয়ে তিনি বিয়ে রেজিষ্ট্ররি করে থাকেন। অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে এই সব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে চৈত্রকোল ও মিলনপুর ,বড়বালা ইউনিয়নে বাল্য বিবহের প্রবনতা বাহিয়ে যাচ্ছে। এলকাবাসী উক্ত কাজীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল সহ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী মোজাফফর রহমান ও ফজলুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।