রংপুরে যুবক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পরিবার বলছে পুলিশের পিটুনিতে মৃত্যু, পুলিশ বলছে হার্ট এ্যটাক
https://www.obolokon24.com/2016/08/rangpur_32.html
রংপুর অফিস॥
রংপুর মহানগরীর খাসবাগ বালাটারীতে নুরনবী নামে এক যুবক পুলিশের পিটুনিতে মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। অন্যদিকে পুলিশ দাবি করেছে মোটরসাইকেল চুরির ছিনতাইয়ে অভিযান চালানোর সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে। এনিয়ে এলাকাবাসি পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। শনিবার সকালে এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর নবীর পিতা আব্দুর রশিদ জানান, আমার তিন ছেলে এবং স্থানীয় যুবক তোফাজ্জল ও গোলজার মিলে বাড়ির পাশে ইলেক্ট্রিক যন্ত্রাংশের ব্যবসা করে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকার পুলিশের সোর্স বাবুসহ পুলিশের এসআই তারেক ও তোফাজ্জল আমাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা আমার তিন পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে তাদেরকে আটক করে মারধর করতে থাকে। পুলিশ। এক পর্যায়ে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় ৮০ হাজার টাকা ম্যানেজ করে পুলিশকে দেই। কিন্তু ততক্ষণে আমার পুত্র নুরনবী পুলিশের পিটুনিতে মারা যায়। পুত্র মারা যাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে বললে তারা বলে অসুস্থ্য হয়েছে। একে থানায় নিয়ে যেতে হবে। পরে পুলিশ ভ্যানে করে থানায় না নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে ভর্তি না নিয়ে বলে মারা গেছে। এরপর শনিবার সকালে পুলিশ আমার বাড়িতে এসে বলে তোমার পুত্র হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেছে। অপমৃত্যুর মামলা করতে হবে। তখন এলাকাবাসি পুলিশকে আটক করে রাখে এবং বিক্ষোভ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে রংপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নূরনবীর বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে। পুলিশ গত রাতে তাকে আটক করলে তার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়। এরপর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই মারা যায় তিনি। নুর নবীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকও তাকে বলেছেন নুরনবীর মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তিনি আরও বলেন, তবুও ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।