জলঢাকায় আসামী ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় তিন জামায়াত শিবির গ্রেফতার
https://www.obolokon24.com/2016/08/jaldhaka_14.html
বিশেষ প্রতিনিধি ১৪ আগষ্ট॥
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় আবদুল কাদিম ওরফে আব্দুর কাদির ওরফে আব্দুর কাদের(৪২) নামের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার মামলায় জামায়াত শিবিরের সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ আগষ্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের দক্ষিন দেশীবাই গ্রামের দুই জামায়াত কর্মী মৃত জোনাব উদ্দিনের ছেলে আমিনুর রহমান(৪২) ও ময়েজ উদ্দিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪০) এবং শিবিরের সক্রিয় সদস্য একই গ্রামের মফেল উদ্দিনের ছেলে লাভলু মিয়া (২৭)। আজ রবিবার এদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। জানা যায়, পুলিশের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরন আইনের পৃথক তিনটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামী শিবির ক্যাডার আব্দুল কাদিম। সে নীলফামারীর জলঢাকার উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের দেশীবাই গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী ডিগ্রি কলেজের অতি সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া একজন প্রভাষক।
সুত্র মতে ওই আসামী বিরুদ্ধে ঢাকা উত্তরা থানায় পুলিশের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরন আইনের ২০১২ সালের নবেম্বর মাসে পৃথক তিনটি মামলা হয় । ওই সব মামলায় পৃথক পৃথক ভাবে ৭ বছর করে সাজা প্রদান করে আদালত ওই আসামীর বিরুদ্ধে। আসামী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। এমনকি তার বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ওই আসাসীকে গ্রেফতারে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলে জন্য জলঢাকা থানায় নির্দেশ আসে।
গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলে জলঢাকা পুলিশ গোপন সংবাদ পেয়ে গত ১২ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী কাদিমকে তার নিজের বাড়ির অদূরে চৌধুরীর বাজার জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এ সময় ওই এলাকার শতশত জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা আসামীকে গ্রেফতারে বাধা নিয়ে পুলিশের নিকট থেকে ছিনিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সহায়তা করে।
ওই ঘটনায় জলঢাকা থানার এসআই তপন কুমার রায় ঘটনার দিন রাতে বাদী হয়ে আসামী ছিনতাইয়ের একটি মামলা দায়ের করে (মামলা নম্বর ১০)। মামলায় উক্ত এলাকার জামায়াত শিবিরের নামীয় ১৪ নেতা ও দুই থেকে তিন শতাধিক অজ্ঞাত জামায়াত শিবির কর্মীদের আসামী করা হয়। ওই মামলায় উক্ত তিন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায় মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।