চিলাহাটীতে ধর্ষকের হুমকিতে অসহায় প্রতিবন্ধি ও তার পরিবার

এ,আই,পলাশ চিলাহাটি প্রতিনিধি ঃ

প্রতিবন্ধি মেয়েটি অসহায় দিন যাপন করছে। প্রতিবন্ধি পরিবারকে ধর্ষক নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য। ভয়ে কোন ঠাঁসা হয়ে আছে প্রতিবন্ধি পরিবার। এমন অভিযোগ করেন,প্রতিবন্ধি মেয়েটির মামা সামিউল হক বিপুল। ঘটনা ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডোমার উপজেলাধীন কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানার শান্তিপাড়া গ্রামের পোনা মাছ ব্যবসায়ী আবু তালেব মাঠু দীর্ঘদিন ধরে পাশের গ্রামের বিপুলের কুড়ি বছর বয়সী প্রতিবন্ধি ভাগনী ও চিলাহাটি সরকারী মহাবিদ্যালয়ের এমএলএসএস সাগর আলীর মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্তা হলে মাঠু মেয়েটিকে পানীয় জুসের মধ্যে ওষুধ মিশিয়ে তা পানে পেটের শিশুটিকে নষ্ট করে। সূত্রে আরও জানা যায়, জুস পানে অবস্থার অবনতি হলে মেয়েটির মামা বিপুল তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান। এব্যাপারে মেয়েটির মামী সুরাইয়া বিলকিস বলেন, আমাদের অগোচরে মাঠুর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ানোর কারনে মেয়েটি ৩/৪ মাসের    অন্তঃসত্তা হলে জুসের মাধ্যমে ওষুধ পান করায়। এতে একদিন দেখি প্রচন্ড রক্ত পড়ছে দেখে ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার প্রেগনেন্ট বলে এবং জুসে ওষুধ পানের ফলে বাচ্চাটি নষ্ট হয়ে যায়,এটা ডাক্তার আমাদেরকে জানায়। শ্লীলতাহানীর স্বীকার প্রতিবন্ধি মেয়েটির ভাষ্য নিতে গিয়ে দেখা যায়, মাথা নিচু করে মূখ বুজে অসহায় ভঙ্গিতে বসে আছে। জানতে চাওয়া হলে অনেকক্ষণ নির্বাক থেকে কাঁপাকাঁপা ঠোঁটে মেয়েটি বলে, “মাঠু মোর সাথোত খারাপ কাজটা কইচ্ছে। একদিন জুস খাবার দিয়া কইল এইটা খা। পরে দেখিনু রক্ত পচ্ছে।”  অসহায় প্রতিবন্ধি মেয়েটির মামা বিপুল জানান, আমরা চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মাঠুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সুফিয়ান অভিযোগটির প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ প্রতিবন্ধি মেয়েটির মামা তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রতিবন্ধি মেয়েটির বাবার পরিচয় দিতে বিপুল বলেন, ২৬/২৮বছর পূর্বে আমার বড় বোন শেফালির সাথে বিয়ে হয় উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জের সাহার মোড় এলাকার বাসিন্দা এবং চিলাহাটি সরকারী মহাবিদ্যালয়ের এমএলএসএস সাগর আলীর সাথে। কিন্তু তাদের বিয়ে বেশি দিন টিকে নি। তিনি বলেন, মেয়েটি জন্ম নেওয়ার পরই সাগর আলী ওদেরকে ছেড়ে চলে যায়। কোন প্রকার খোঁজ-খবর রাখে নি। তখন থেকেই মা-মেয়েকেই আমি লালন-পালন করছি। তিনি আরও বলেন, ধর্ষকের পক্ষে কথা বলে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সাগর আলী মুঠো ফোনে আমাকে হুমকি-ধামকিও দেয়।ধর্ষক মাঠু ধোরাছোঁয়ার বাহিরে আছে।
প্রসংগতঃ প্রতিবন্ধি নির্যাতিতা মেয়েটির ভাষ্য মতে, পোনা মাছ ব্যবসায়ী আবু তালেব মাঠুর অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে প্রতিবন্ধি মেয়েটি অন্তঃসত্তা হওয়ায় ধর্ষক পেটের শিশুটিকে জুসে ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে মেরে ফেলে। একসময় ওষুধের বিষক্রিয়ায় অবস্থার অবনতি হলে মেয়েটির পরিবার গত ১৪জুলাই হাসপাতালে ৩/৪মাস বয়সী একটি মৃতঃ শিশুর জন্ম দেয় প্রতিবন্ধি মেয়েটি। বর্তমানে মেয়েটি ও তার পরিবার ধর্ষকের ও বিভিন্ন মহলের চাপে  ভয়ে দিনাতিপাত করছে।