দিনাজপুরে জাতীয় শোক দিবস পালিত

মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর:-
দেশের অন্যান্য জেলার মত দিনাজপুরে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিনাজপুরে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

১৫ই আগস্ট (সোমবার) জেলার ১৩টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও তার ব্যতিক্রম নয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, শোকর্যালি, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের কবিতাপাঠ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, বিশেষ দোয়া-মোনাজাতসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান।

এ দিকে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠিত হওয়া, জেলার দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলজার রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষকে ঠকিয়ে মীর জাফরের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুললে হবে না ; বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের গড়তে হবে।

তিনি আরো বলেন, শুধু তাকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পড়লে কিংবা জানলেই হবে না। তার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) দর্শন, ধ্যান ধারণা দিয়ে জীবনকে পরিচালিত করা সম্ভব হবে ; তাহলেই একটি নতুন সুন্দর, জঙ্গী মুক্ত দেশ পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত,  ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বাঙ্গালি ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ; অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিলো সারা বাংলাদেশ। জাতির জীবনে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছিল এই দিনে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার সাথে সাথে এ দিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করে আসছিলো। পরবর্তীতে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকার ২০০১ সালে এসে জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটিসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের বিষয়টি স্থগিত করে দেয়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কালে মহামান্য হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে জাতীয় শোক দিবসটি সরকারি ছুটিসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত পুনরায় ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধু মরে গিয়ে ও অমর বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক রির্পোট হতে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে ১৯৯৬ সালে আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পিছিয়ে যায় বিচার প্রক্রিয়া। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর দেয়া রায়ে আসামী ১৫ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়।

পরে হাইকোর্টের আপিল ডিভিশনে ১২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে বাকি তিন জনকে বেকসুর খালাস দেয়। ২০০৯ সালে পুনরায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কার্যক্রমে গতি পায়।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৫ খুনী কর্ণেল (অব:) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্ণেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্ণেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

রির্পোটি অনুসারে আরো জানা যায়, চিহ্নিত বাকী ৭ জনের মধ্যে আব্দুল আজিজ ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা যায়। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে বাকী ৬ খুনী। এদের মধ্যে লে. কর্ণেল খন্দকার আব্দুর রশীদের লিবিয়ায় আছে। মাঝে মাঝে পাকিস্তানে যাতায়াত করে। কেনিয়াতে মেজর শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসা থাকলেও লিবিয়া ও পাকিস্তানে যাতায়াত আছে তার। ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ পাকিস্তান ও লিবিয়ায় থাকে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন জার্মানীতে বসবাস করছে। লে. কর্ণেল রাশেদ চৌধুরী রাজনৈতিক আশ্রয়ে বাস করছে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে। আর কর্ণেল নূর চৌধুরী জার্মানী ঘুরে এখন কানাডায় রয়েছেন বলে জানা যায়, ঐ রির্পোট হতে।

এ দিকে পালাতকদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য সরকার আহ্বান জানান বক্তারা।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 1056833520399651875

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item