বিলুপ্ত ছিটমহলের সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশীরা :এলাকাবাসীর অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2016/08/dimla_8.html
জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলগুলি দু’দেশের সরকার বিনিময় করে ছিটমহলগুলি বিলুপ্ত ঘোষনা করে গেল বছর ১ আগষ্ট । ফলে ছিট মহলের বাসিন্দারা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পায়। আর এসব বন্দিদশা বাসিন্দারা জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশের নাগরিকের মর্যাদা পান। এ কারণে বর্তমান সরকার অধিক গুর”ত্ব দিয়ে এসব নাগরিকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহন করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নাগরিক সেজে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসলেও সম্প্রতি সরকার ঘোষিত এসব সুযোগ সুবিধা পেতে আবেদন করে বাংলাদেশী নাগরিকরাও। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দেশের ১৫ জন নাগরিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করে লিখিত অভিযোগ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। অভিযোগকারী উল্লেখ্য ব্যক্তিরা হলেন নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনাই গ্রামের হান্নান, মোজাম্মেল, আমিনুর, জুয়েল, রবিউল, ছলেমান, মমিনুর, নুর”, হার”ন, খায়র”ল, টুটু, হাফিজুর, আকবর, মিকসন ও সবুর প্রমুখ। অভিযোগকারীরা উপ-পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বয় কার্যালয়,দিনাজপুর বরাবরে ও জেলা প্রশাসক, নীলফামারী, পুলিশ সুপার, নীলফামারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতর্কা,ডিমলা, সহকারী ভূিম কর্মকর্তা, ডিমলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেন। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মৃত হামিদুর রহমানের পুত্র মো: মিজানুর রহমান,মো: মমিনুর রহমান,আব্দুল আলিম ও মো: সেলিম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বাসিন্দা সেজে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। মিজানুর রহমান ডিমলা তিতপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৯৬ সালে যোগদান করে চাকুরীরত অবস্থায় আছেন এবং সরকারের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছেন। তার ইনডেক্স নং-৫৬৪১৭৯, হিসাব নং-টি-১১৪৪/৩৮, ভোটার নং-৭৩০০৫২৪৩২৫৯৯ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ১৯৭৪৭৩১১২২৮৪৩২৫৯৯। অপর দিকে মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোছা: মাজেদা বেগম পশ্চিম খড়িবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০০৬ সালে যোগদান করেন চাকুরীরত অবস্থায় রয়েছেন। তার ব্যাংক হিসাব নং-টি-৭১৯, জপি নং-৭৭৪, ভোটার নং-৭৩০০৫২৪৩৪২০৫ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৮৪৭৩১১২২৮০০০০২৯। নুরল ইসলামের পুত্র মো: জুয়েল ইসলাম, মৃত মনির উদ্দিন সরকারের পুত্র শরিফুজ্জামান সরকার ও রফিকুজ্জামান সরকার, মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম, মৃত খেজুর মামুদের পুত্র অলিয়ার রহমানসহ আরো অনেকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এ ব্যাপারে গয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়সাল মুন জানান, উল্লেখিত ব্যক্তিগন আমার ইউনিয়নে বসবাস করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছেন। অভিযোগে প্রকাশ, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আব্দুল আলিম বর্তমানে সিংপুরে অবস্থান করছেন। অথচ এদের প্রত্যেকেই ২৯ নং বিলুপ্ত ছিটমহল বড় খানকি খারিজা গিতালদহের বাসিন্দা হিসেবে খতিয়ান নং-৩৬ ও জেএল নং-১৬ মূলে ১০ শতাংশ করে ১ একর জমি সরকারী কবুলিয়ত প্রদান করা হয়। অন্যদিকে দেখা যায় ২০১১ সালে ছিট মহল জরিপ কার্যক্রমে এসব বাংলাদেশের নাগরিকগণ কৌশলে নিজেদের তথ্য গোপন করে তাদের নাম অন্তর ভূক্ত করেন। ফলে ২০১৫ সালে ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেট (কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত)-এ উক্ত ছিট মহলের তালিকায় সিরিয়াল নং- ১৯৩১৬- ১৯৩২৪’তে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণের নাম বিদ্যমান। সুতরাং এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগকারীদের অভিযোগ কিভাবে এসব বাংলাদেশী নাগরিকরা সরকারী চাকুরীজিবি হয়েও এবং সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও ছিট মহলের বাসিন্দা সেজে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন ? এর প্রতিকার চেয়ে সৃুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।