তিস্তায় অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলন, আসামী পাথর ট্রলি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে আটক ট্রাক্টর নিয়ে প্রশাসনের রমরমা বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিস্তার বাঁধে অবৈধভাবে পাথর পরিবহন করার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায়, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীরসহ পুলিশ দিয়ে অভিযান চালিয়ে দুইটি ট্রাক্টর আটক করে। মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনার সময় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র জামিনুর রহমান ও একই গ্রামের আব্দুল তালেবের পুত্র মিষ্টারের পাথর ভর্তি দুটি ট্রাক্টর আটক করা হয়।
ঘটনার ২দিন পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবীর বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা করলেও ট্রাক্টরের মালিকের নাম না দিয়ে শুধুমাত্র পরিত্যাক্ত অবস্থান পাথর ভর্তি ট্রাক্টর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। অথচ আটককৃত ট্রাক্টরের মালিক জামিনুর,মিষ্টার ও তিস্তা নদী হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের মূল হোতা। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক আটকমোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে ট্রাক্টর দুটি ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য মামলার বাদীকে অর্থ দ্বারা প্রভাবিত করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের লোকজন মাসোয়ারা নিয়ে তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার কারনে তিস্তার বাধসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আটককৃত অবৈধ পাথর সহ ট্রাক্টরের মালিক জামিনুর ও মিষ্টারের নাম সকলে বললেও মামলার বাদী তাদের নাম জানেনা মর্মে পাথর ভর্তি ট্রলিকে আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা নং-১১ দায়ের করেন। জানা যায়, তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে নৌকায় মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করার ফলে তিস্তার বামতীর বাঁধসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী মৌজার তেলির বাজার সংলগ্ন গ্রোয়িং বাধে প্রতিদিন শতশত ট্রাক্টর অবৈধ পাথর পরিবহন করার ফলে বাধের অধিকাংশ অংশ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। 
ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিষয়টি ভ্র্যাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কশিমনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী যেভাবে অভিযোগ দিয়েছে পুলিশ তা রেকর্ড করেছে।  নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কশিমনার (ভুমি) মিল্টন চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে বলেন, তহশিলদারকে ট্রাক্টরের মালিকের নামসহ মামলা দিতে বলা হয়েছে। আমি ঢাকা যাচ্ছি রাস্তায় বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ইলতুসমিন কবির বলেন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী মৌজার তেলির বাজার নামক স্থানে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টর বালু ও পাথর পরিবহন করায় মালিকের নাম যাচাই করা সম্ভ^ব হয়নি। তবে তিস্তা নদী হতে নৌকায় মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন ও বহনের কথা স্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ট্রাক্টরের মালিকের নাম বাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই । বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4316231136584644486

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item